মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২টি দেশের ওপর নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। গতকাল বুধবার তিনি এ সংক্রান্ত একটি আদেশে সই করেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ইহুদিদের একটি র্যালিতে হামলার ঘটনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যেসব দেশের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে নতুন এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী ৯ জুন থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দেশগুলো হলো- বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
ট্রাম্প এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, 'কলোরাডোর বোল্ডারে সাম্প্রতিক হামলা বিদেশি নাগরিক, যাদের সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি, তাদের প্রবেশের ফলে আমাদের দেশে যে চরম বিপদ তৈরি হয়েছে তা তুলে ধরেছে।'
'আমরা তাদের চাই না,' বলেন তিনি।
ট্রাম্প নতুন এই পদক্ষেপকে তার প্রথম মেয়াদের সময় বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপের মতো হামলা থেকে রক্ষা করেছিল বলে তিনি মনে করেন।
'ইউরোপে যা ঘটেছে আমরা তা আমেরিকায় ঘটতে দেব না,' বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, 'আমরা এমন কোনো দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসন করতে পারি না যেখানে আমরা নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্যভাবে যাচাই-বাছাই এবং স্ক্রিনিং করতে পারি না। সেই কারণেই ইয়েমেন, সোমালিয়া, হাইতি, লিবিয়াসহ আরও অনেক দেশের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি নতুন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছি।'
Comments