নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা বুঝতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের অবশ্যই নতুন প্রজন্মের ভাষা, তাদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে। আমাদের জানতে হবে কীভাবে প্রবীণ প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ বাতিলের জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার কক্ষে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এছাড়া ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশে আইনটির কিছু ধারা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এগুলো বিবেচনা করে জনগণের স্বার্থে এবং স্বচ্ছভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্রয় ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এই আইনটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে সরকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সমাজে জেনারেশন গ্যাপ (পূর্ববর্তী প্রজন্মের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবধান) কমিয়ে আনার আহবান জানিয়ে বলেন, তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। এটি সমস্যা তৈরি করবে। আমাদের অবশ্যই দুই প্রজন্মের মধ্যে ধ্যান-ধারণার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।
সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করে এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার জানিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত যেন এটি একটি প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করবে। আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয় যেখানে শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেয়া হয়। পরীক্ষার নম্বর কত পেল সেটাই যে সবকিছু না। এটি সকলের উপলব্ধি করা উচিত। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জাতীয় পাঠ্যক্রমে পারিবারিক মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্তির প্রতিও জোর দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।