বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
Wednesday, 22 October, 2025
মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল ২০২৫’ এ বাংলাদেশের  অংশগ্রহণ 
দ্বিতীয় বারের মতো মালয়েশিয়ায় ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল ২০২৫’ এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।  মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মালাক্কা প্রদেশে মালাক্কা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে (এমআইটিসি) ১৬ অক্টোবর থেকে চারদিনের এ মেলা শুরু হয়ে গতকাল

আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৭ ঘণ্টা পর সচল শাহজালাল বিমানবন্দর

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এখনও জ্বলছে

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন

পৃথক ভূখণ্ডে সাহসের একই কালিতে লেখা আলজেরিয়া আর বাংলাদেশের ইতিহাস: রাষ্ট্রদূত আবদেলউহাব সাইদানি

বাংলাদেশ–কুয়েত প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ ১৯ অক্টোবর ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। এই সংলাপে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক) ড. মোঃ নাজরুল ইসলাম এবং কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামীহ ইসা জোহার হায়াত স্ব স্ব পক্ষের নেতৃত্ব দেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি, উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে একমত হয়। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, এ সংলাপ প্রতি দুই বছর অন্তর ঢাকা ও কুয়েতে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা, প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্প্রসারণে সম্মত হয় এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জ্বালানি, অবকাঠামো, আইসিটি, খাদ্য নিরাপত্তা ও হালাল খাতকে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশ কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়। দুই দেশ কুয়েত ফান্ডের সহায়তায় চলমান প্রকল্পে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো ও বিমান সংযোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করে। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে মতৈক্য হয়। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটে কুয়েতের মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানায় এবং তাঁদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একসাথে কাজের প্রত্যয় ব্যক্ত করে। উভয় দেশ জাতিসংঘ ও ওআইসি’র মতো বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। সংলাপ শেষে একটি যৌথ সংবাদ বিবৃতি ইস্যু করা হয়। সফরকালে কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামীহ ইসা জোহার হায়াত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল ২০২৫’ এ বাংলাদেশের  অংশগ্রহণ 
দ্বিতীয় বারের মতো মালয়েশিয়ায় ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল ২০২৫’ এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।  মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মালাক্কা প্রদেশে মালাক্কা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে (এমআইটিসি) ১৬ অক্টোবর থেকে চারদিনের এ মেলা শুরু হয়ে গতকাল

আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৭ ঘণ্টা পর সচল শাহজালাল বিমানবন্দর

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এখনও জ্বলছে

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন

পৃথক ভূখণ্ডে সাহসের একই কালিতে লেখা আলজেরিয়া আর বাংলাদেশের ইতিহাস: রাষ্ট্রদূত আবদেলউহাব সাইদানি

আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৭ ঘণ্টা পর সচল শাহজালাল বিমানবন্দর
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এখনও জ্বলছে
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন
ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা
দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সূত্রটা কী? এককথায় মাহাথির মোহাম্মদের জবাবটা হলো, শরীর ও মন—দুটিকেই সব সময় কাজের মধ্যে রাখতে হবে। তাহলেই মিলবে দীর্ঘ জীবন। তিনি নিজেও এর ব্যতিক্রম নন। সুস্থতা
আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়াওয়েরি মুসোভেনি। এর মধ্য দিয়ে মুসোভেরি দেশটিতে তাঁর প্রায় চার দশকের শাসনামল
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি 'সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক' যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, আগামী
সপ্তম দিনে গড়ালো ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ। বুধবার রাতভর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গেছে ইরান। আর ইসরায়েল তেহরান ও এর আশেপাশের এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। আজ-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার
ইরানে ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নেব।’ হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৩২০ জনের বেশি। ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত সপ্তম দিনের মতো
১৪ দিনের লড়াই শেষ, স্তব্ধ হলো ফরিদা পারভীনের কণ্ঠ
তাঁর কণ্ঠের মাধুর্যে মুগ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর দৃপ্ত গায়কির আকর্ষণ আচ্ছন্ন করেছে বাংলা গানের শ্রোতাদের। বাংলাদেশের লালনসংগীতের সঙ্গে যাঁর নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে, সেই ফরিদা পারভীন আর নেই। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী ও ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল। মৃত্যুকালে ফরিদা পারভীনের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছিল, সপ্তাহে দুই দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো। এর আগেও সংকটাপন্ন অবস্থায় বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ফরিদাকে। কিন্তু পরিবারের সদস্য-অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছিলেন, ফরিদা পারভীনের কিডনি, ব্রেন কাজ করছে না। ফুসফুসে সমস্যা আছে। হার্টে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন আছে। রক্তের সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে। রক্তচাপ কম থাকার কারণে ডায়ালাইসিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আশীষ কুমার চক্রবর্তী রাতে মন খারাপ করা খবরটি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আর পারলাম না আপাকে ফেরাতে। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি।’ শৈশবের রোদ্দুর থেকে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনকে বলা হতো ‘লালনসম্রাজ্ঞী’। লালন সাঁইজির গানের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই বাঙালির কানে ভেসে উঠত তাঁর কণ্ঠস্বর। দীর্ঘ সংগীতজীবনে তিনি লালনের গানকে বিশ্বপরিসরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানার শাঁঔঁল গ্রামে জন্ম নেন ফরিদা পারভীন। শৈশবের দিনগুলো কেটেছে মাগুরা, নাটোর, কুষ্টিয়া—দেশের নানা প্রান্তে। বাবার চাকরির বদলির কারণে ঘুরে বেড়ানো সেই শৈশবেই শুরু হয় গানের হাতেখড়ি। মাত্র চার-পাঁচ বছর বয়সে ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে প্রথম গান শেখা। তারপর নজরুলসংগীত দিয়ে তাঁর শিল্পীজীবনের সূচনা। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি রাজশাহী বেতারে তালিকাভুক্ত নজরুলসংগীতশিল্পী হন। কিন্তু ভাগ্য যেন তাঁকে অন্য পথে নিয়ে যেতে চাইছিল, সেই পথের নাম—লালন। লালনের গানে মোড় ঘোরা জীবন স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়ার দোলপূর্ণিমার মহাসমাবেশে প্রথমবারের মতো লালনের গান পরিবেশন করেন ফরিদা পারভীন। সেই গান ছিল—‘সত্য বল সুপথে চল’। শ্রোতার আবেগ, উচ্ছ্বাস আর প্রশংসা তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, এই পথেই তাঁর যাত্রা। শুরুতে অনীহা থাকলেও বাবার উৎসাহে মকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছে লালনের গান শেখা শুরু করেন। এরপর খোদা বক্স সাঁই, করিম সাঁই, ব্রজেন দাসসহ গুরুপরম্পরার সাধকদের কাছে তালিম নিয়ে লালনের গানকে তিনি কণ্ঠে ধারণ করেন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান হয়ে ওঠে শুধু সংগীত নয়, এক অনন্য জীবনদর্শন। জীবনকালে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে এটা ঘটে। কুষ্টিয়ায় স্থানীয় এক হোমিও চিকিৎসক আমার গানের বেশ মুগ্ধ শ্রোতা ছিলেন। কিন্তু কেন জানি, তিনি আমার কণ্ঠে লালনগীতি শুনতে চাইতেন। তাঁর মনে হতো, লালনের গান আমার কণ্ঠে বেশি ভালো লাগবে। তাই হঠাৎ করেই আমাকে একদিন লালন ফকিরের গান শেখার পরামর্শ দেন। কিন্তু শুরুতে লালনের গান গাইতে চাইনি। আমার এই অনীহা দেখে বাবা আমাকে অনেক বুঝিয়ে গান শেখার জন্য রাজি করান। বলেন, “ভালো না লাগলে গাইবি না।” এই শর্তে রাজি হই এবং লালনসংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছে তালিম নেওয়া শুরু করি। “সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন”, লালনের বিখ্যাত গানটি শিখি। একই বছর দোলপূর্ণিমা উৎসবে গানটি গাইলে শ্রোতারা আমাকে লালনের আরও একটি গান গাইতে অনুরোধ করেন। তখন আমি গান গাইতে অসম্মতি জানাই। শ্রোতাদের বলি, “আমি একটি গান গাইতে শিখেছি। এটাই ভালোভাবে গাইতে চাই।” এ গানই আমার নতুন পথের দিশা হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে বুঝতে শিখি, কী আছে লালনের গানে। তাঁর গানে মিশে থাকা আধ্যাত্মিক কথা ও দর্শন আমাকে ভাবিয়ে তোলে। এ পর্যায়ে অনুভব করি, লালন তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে অনবদ্য এক স্রষ্টা হয়ে উঠেছেন। এটা বোঝার পর লালনের গান ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারি না।’ কণ্ঠে দার্শনিকতার মূর্ছনা ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘নিন্দার কাঁটা’ কিংবা ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’—শুধু গান নয়, মানুষের আত্মাকে নাড়া দেওয়া এক দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালন যেন নতুন ভাষা খুঁজে পেত। তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘লালনের গান গাইতে গাইতে বুঝেছি, তাঁর বাণীতে যে আধ্যাত্মিকতা আছে, তা আমাকে ভেতর থেকে নাড়া দেয়। এই গান ছাড়া আমি অন্য কিছু ভাবতেই পারি না।’ বিশ্বমঞ্চে লালনের জয়যাত্রা শুধু বাংলাদেশ নয়, লালনের গান তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য—সবখানেই তাঁর কণ্ঠে বেজেছে লালনের দর্শন। সুইডেন সফরের সেই ঘটনা আজও কিংবদন্তি—যেখানে রানী তাঁর গান শুনে অশ্রুসিক্ত হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি কথাগুলো বুঝি না, কিন্তু তাঁর কণ্ঠে যে বেদনা আছে, তা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’ ৫৫ বছরের সংগীতজীবনে ফরিদা পারভীনের অনেক স্মরণীয় স্মৃতি আছে। সে রকম একটি ঘটনার কথা এভাবেই বলেছিলেন, ‘১৯৭৩ সাল। বিভিন্ন আখড়া থেকে বাউলশিল্পীদের ঢাকায় এনে লালনের গান রেকর্ডের পরিকল্পনা করেন ওস্তাদ মকছেদ আলী সাঁই। তিনি তৎকালীন রেডিওর ট্রান্সক্রিপশনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর আমন্ত্রণে ঢাকায় রেডিওতে আসি। এ সময় স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল হামিদ চৌধুরী, কমল দাশগুপ্ত, সমর দাস, কাদের জমিলির মতো বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞরা। খুব ভয় হয়েছিল। তাঁদের সামনে আমাকে গাইতে হলো। ১৫ মিনিটের একক সংগীতানুষ্ঠান করে তাঁদের প্রশংসা পেয়েছিলাম। এটিই আমার অন্যতম স্মরণীয় স্মৃতি।’ ২০০১ সালে ‘ফরিদা পারভীন প্রজেক্ট কমিটি’র উদ্যোগে তিনি জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গান পরিচয় করিয়ে দেন। পরে গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি করা। স্বীকৃতি লালনসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান তিনি। ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্র ‘অন্ধ প্রেম’-এ ব্যবহৃত তাঁর গাওয়া ‘নিন্দার কাঁটা’র জন্য পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০৮ সালে জাপানের মর্যাদাপূর্ণ ফুকুওয়াকা পুরস্কারে ভূষিত হন। তবে পুরস্কার-সম্মান নয়, তাঁর কাছে আসল অর্জন ছিল মানুষের ভালোবাসা। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমার গানের শ্রোতা যখন কাঁদেন, হাসেন, আবেগে ভেসে যান—সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’ ব্যক্তিজীবন ব্যক্তিজীবনে তিনি একসময়ের জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার আবু জাফরের স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের সংসারে এক মেয়ে ও তিন ছেলে। আবু জাফরের লেখা-সুর করা অনেক গানই তাঁর কণ্ঠে অমর হয়ে আছে। যেমন, ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা’। তবে দাম্পত্যজীবনে বিচ্ছেদ ঘটলেও গানই ছিল তাঁর চিরসঙ্গী। ২০০৫ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিমের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে জড়ান। শেষ জীবন শেষ সময় জীবনের শেষ কয়েক বছর তিনি কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। ডায়ালাইসিসের পরও তাঁর শিল্পীসত্তা কখনো ক্লান্ত হয়নি। হাসপাতালের বিছানায় থেকেও তাঁর মনে ছিল গান। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সেই সঙ্গে বাংলার সংগীতের আকাশের উজ্জ্বল এক নক্ষত্র অস্ত গেল। নিভে গেল এক কণ্ঠস্বর, যে কণ্ঠ শুনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লালনকে নতুনভাবে চিনেছে।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ঢাকায় রাশিয়ান হাউজে লোকগানের উৎসব “দোব্রোভিদেনির”র বিশেষ প্রদর্শনী
ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজে উদযাপিত হলো ‘পরিবার, ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার দিবস’
ঢাকা ছাড়ার আগে স্ত্রীকে যাত্রী সাজিয়ে চালকের আসনে জার্মান দূত

মালয়েশিয়ায় বর্ণীল আয়োজনে 'বাংলাদেশ উৎসব'  উদযাপন

জমকালো আয়োজন এবং বিপুল উৎসাহ - উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে  'বাংলাদেশ উৎসব' উদযাপন করেছে কুয়ালালামপুরস্থ  বাংলাদেশ হাই কমিশন। এ   উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫ ) রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্রাফট কমপ্লেক্সে    বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুমধুর গান, দৃষ্টিনন্দন নাচ, ফ্যাশন শো এবং ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় এ বর্ণিল আয়োজনে। বাংলাদেশের ঐতিহ‍্যবাহী রিকশাসহ অন‍্যান‍্য দেশীয় কারুপন‍্য দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। মালয়েশিয়া   টুরিজম, আর্টস এবং  কালচার মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াইবিএইচজি দাতো শাহারুদ্দিন বিন আবু সহত  ( YBhg. Dato’ Shaharuddin bin Abu Sohot)  অনুষ্ঠানে “গেস্ট অব অনার” হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মালয়েশিয়ার  পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের  উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কুয়ালালামপুরে  বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিপুল সংখ‍্যক  কূটনীতিক ছাড়াও শিক্ষাবিদ,  প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ,  সাংবাদিক এবং হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এ আয়োজনে  উপস্থিত ছিলেন।   হাই কমিশনার মোঃ শামীম আহসান ও তাঁর সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরী আমন্ত্রিত অতিথিদের উষ্ণভাবে বরণ করে নেন এবং সকলের  সাথে  শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  টুরিজম, আর্টস এবং  কালচার মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল   তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ -মালয়েশিয়ার দ্বি-পাক্ষিক চমৎকার সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার এর মত বাংলাদেশও সমৃদ্ধ  সংস্কৃতির ও বহু জাতি -গোষ্ঠীর  দেশ।  'বাংলাদেশ ফেস্টিভাল'  বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত সমাজের চিত্র তুলে ধরেছে, যা অত্যন্ত  প্রশংসনীয়।  তিনি বাংলাদেশের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।  হাইকমিশনার শামীম আহসান  তার বক্তৃতায় শুরুতে '৭১  এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং '২৪ এর জুলাই -আগস্ট অভ্যুত্থানের সকল শহিদের   স্মৃতির প্রতি গভীর  শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্ণিল উৎসবের দেশ। আমরা আমাদের বিশ্বাস, জীবন, স্বাধীনতা, প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং অর্জনগুলি বছরব্যাপী বিভিন্ন মেলা এবং উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করি, যা প্রচুর উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে আয়োজিত হয়। হাই কমিশনের জনকূটনীতির অংশ হিসাবে আমাদের বিশিষ্ট বিদেশী বন্ধুবান্ধব এবং প্রবাসী  দের নিয়ে এই উৎসব আয়োজন।  জুলাই -আগস্ট অভ্যুত্থানের পর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথের পরপরই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহীম প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রথম সরকার প্রধান হিসাবে বাংলাদেশ সফর করেন। বিপ্লব পরবর্তী   প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে ৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব এবং "নতুন বাংলাদেশ"-এর জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মালয়েশিয়ার  দৃঢ়  সমর্থন প্রদর্শন করে। এবছরই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়ায় ফিরতি সফর এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে হাইকমিশনার জানান।  তিনি আরও বলেন, একজন কূটনীতিক হিসেবে, আমরা বিশ্বাস করি যে সংস্কৃতি দেশ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া তৈরি করতে এবং তাদের মধ্যে ভুল ধারণা দূর করতে একটি অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে।  তিনি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। আলোচনা সভার পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,  প্রবাসী বাংলাদেশী  ও হাই কমিশন পরিবারের সদস্যদের  অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  অতিথিদের মুগ্ধ করে। বিশেষত  বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মেহরিন এর পরিবেশনা অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ঐতিহ্যবাহী রকমারী বাংলাদেশী খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে কর্মরত দুজন পেশাদার শেফ কর্তৃক রান্না করা খাবার বিশেষত  'স্মোকড্ ইলিশ ' বিদেশী  অতিথিদের দ্বারা  প্রশংসিত হয়।  অনুষ্ঠান  প্রাঙ্গনে স্থাপিত বাংলাদেশ কর্নার,  রিকশা ,  ফুচকা,  চা ও ঝাল-মুড়ির স্টল এবং পিঠা ঘর উপস্থিত বিদেশী অতিথিবৃন্দের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।  এছাড়া   বাংলাদেশি প্রখ্যাত  কোম্পানি  প্রাণ, মৈত্রী এবং হোপ তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে এবং ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউজ বুথ স্থাপনের মাধ্যমে  তাদের সেবা প্রবাসীদের অবহিত করে।  অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত 'বাংলাদেশ কর্নারে'  ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন , রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই -আগস্ট অভ্যুত্থান,  সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায় যা অতিথিদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে। এছাড়া,  ক্রাফট কমপ্লেক্স-কে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অনেক অনুসঙ্গ দিয়ে সুসজ্জিত করা হয় যা সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সকলের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরী করে । অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মালয়েশিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল- কে  বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানির ফ্রেম উপহার দেয়া হয়।

এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে : মেহজাবীন

বিয়ের পরে তারকাজুটি আদনান আল রাজীব-মেহজাবীন চৌধুরীর সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে। সম্প্রতি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে রোমান্টির ফটোশুট করেছেন এ তারকা জুটি। শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, ভালোবেসে একে অপরকে কাছে টেনে নিয়েছেন তারা। এদিকে নেটিজেনরা কমেন্ট বক্সে রাজীব-মেহজাবীনের বেশ প্রশংসা করেছেন। ছবি শেয়ার করে মেহজাবীন ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এখনও স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, তবু এটা আমাদেরই। ভালবাসার শহরে যেখানে প্রতিটি রাস্তা ভালোবাসার গল্প বলে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি তিনি আমাদের গল্পটা এমনভাবে লিখেছেন।’ তার কথায়, ‘তোমার পাশে শান্ত সকালের জন্য, প্যারিসের ছাদে প্রতিধ্বনিত হাসির জন্য আর সেই বন্ধনের জন্য যা সময়ের সাথে আরও গভীর হয়। তুমি আমার প্রার্থনার উত্তর এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে।’ প্রসঙ্গত, মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে আসেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের একটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মেহজাবীন পরিচিতি অর্জন করেন। এটিএন বাংলায় প্রচারিত টেলিভিশন নাটক ‘তুমি থাকো সিন্ধু পাড়ে’র মাধ্যমে তার ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটে।

ঢাকায় রাশিয়ান হাউসে আন্তর্জাতিক ম্যারাথন ‘ওয়ান রান’-এর উদ্বোধন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক ম্যারাথন ‘ওয়ান রান’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার রাশিয়ান হাউসে বড় পরিসরে দৌড় প্রতিযোগিতা ‘ওয়ান রান’-এর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। “ওয়ান রান” একটি অনন্য ক্রীড়া প্রকল্প যা ২৪ শে মে অনুষ্ঠিত হবে এবং সার্বিয়া, বাহরাইন, আর্মেনিয়া, মিশর, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, ক্যামেরুন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন এবং অন্যান্য সহ বিশ্বব্যাপী ২৫ টি দেশ থেকে২০০,০০০ এরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের একত্রিত করবে। এ বছর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই ম্যারাথনে অংশ নেবে, যেখানে প্রায় এক হাজার দৌড়বিদ অংশ নিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে রাশিয়ান ফেডারেশন দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর একাতেরিনা সেমেনোভা, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, সাংবাদিক এবং দৌড়ের ভবিষ্যত অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন।