শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Saturday, 18 January, 2025
অন্তর্বর্তী সরকারকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে: সিপিজে
সারা বিশ্বে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ৩৬১ জন সাংবাদিক কারাবন্দী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের চারজন সাংবাদিক রয়েছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা যেন ভয় বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে চীনের সিকে আমন্ত্রণ, নাম নেই নরেন্দ্র মোদির

বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ

সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং / বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন ও সীমান্ত নিয়ে মন্তব্য করল না ভারত
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেনি ভারত। একই সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্তব্য নিয়েও কিছু বলতে চায়নি। তবে দুটি বিষয়েই ভারতের সরকারি অবস্থান আরেকবার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ দুটি বিষয়ই এসেছিল। বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হয়, সে দেশের মধ্যেও দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠেছে। ওই বিষয়ে ভারতের মনোভাব কী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল অবশ্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অথবা দ্রুত নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কী ধরনের সম্পর্ক চায়, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মুখপাত্র বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছেন, ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চায়, যাতে দুই দেশের জনগণের মঙ্গল হয়। জয়সোয়াল বলেন, ‘এটাই আমাদের মনোভাব। বারবার তা জানানো হয়েছে। এই মনোভাব ইতিবাচক এবং এই মনোভাবই বহাল থাকবে।’ বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সীমান্ত এলাকায় কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এ নিয়ে সজাগ। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার কথা শুনিয়েছিলেন। বিষয়টির উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, দুই দেশের সার্বভৌম সরকারের করা চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছে কি না। জবাবে মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে ভারতের মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে বলে দেওয়াও হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে জন্য আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনো ঢিলেমি দেওয়া হবে না। পণ্যের চোরাচালান, মানুষ ও গরু পাচার বন্ধে সীমান্তে বেড়া দেওয়া, আলোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। জয়সোয়াল বলেন, ভারত চায়, এই বিষয়ে আগে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হবে। সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতার ভিত্তিতে অতীতের সব বোঝাপড়া কার্যকর করুক, এটাই ভারতের আশা।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে: সিপিজে
সারা বিশ্বে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ৩৬১ জন সাংবাদিক কারাবন্দী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের চারজন সাংবাদিক রয়েছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা যেন ভয় বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে চীনের সিকে আমন্ত্রণ, নাম নেই নরেন্দ্র মোদির

বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ

সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নতুন বাংলাদেশের চার্টার হয়ে থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না যারা
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকে। পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে সৌজন্যমূলকভাবে
সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার
স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। ছয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভয়ংকর এ দাবানল। এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিনিদের পাশে
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের চাপে রয়েছেন তিনি। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের দুটি বড় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের
স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস। প্রতিদিনই সেখানে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। তৃতীয় দিনে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। এছাড়া আগুনে ১০ হাজার ঘরবাড়ি, অন্যান্য ভবন
নিপুণকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ, লন্ডনযাত্রা বাতিল
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার নিপুণকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি তাকে অফলোড করে তার লন্ডনযাত্রা বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতির সময় তাকে আটক করা হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) নিপুণের লন্ডন যাত্রার বিষয়ে আপত্তি তোলে। এতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিপুণের পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার লন্ডনগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে এনএসআই আপত্তি জানিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, চিত্রনায়িকা নিপুণকে লন্ডন যাওয়ার সময় আটক করেছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে সক্রিয় দেখা যেত অভিনেত্রী নিপুণকে। এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলটির নাম ব্যবহার করতে বলে অভিযোগ ওঠে তার ওপর।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫
বিমানবন্দরে অভিনেত্রী নিপুণ আটক
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল থেকে বেঁচে ফেরার অভিজ্ঞতা জানালেন নোরা
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রুনা খান

অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে ‌‘জাতীয় কবি’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৭২ সালের ৪ মে বাংলাদেশে আসার তারিখ থেকে তাঁকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে গতকাল  বৃহস্পতিবার  গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।  রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক গেজেট প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি সকলের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে তাঁর ঢাকায় আগমনের তারিখ থেকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে আসছিল। উপদেষ্টা পরিষদ এ প্রত্যাশা অনুযায়ী এ প্রস্তাব অনুমোদন করে।  এ বিষয়ে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, এই চাওয়া দীর্ঘ দিনের। অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নজরুল ভক্তরা এই দাবিতে রাজপথ থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত দৌড়েছেন। অনেক লেখালেখি হয়েছে, জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রীর টেবিল পর্যন্ত পৌঁছানোর পর ফ্যাসিস্ট  আওয়ামী রেজিমের এক জনপ্রিয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছিলেন। সেসব এখন ইতিহাস। লতিফুল ইসলাম শিবলী বাসসকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের ফসল বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ দেশের সাধারণ মানুষের আন্তরিক প্রত্যাশা সত্ত্বেও অতীতে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো সরকার এ সিদ্ধান্তটি নেয়নি। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সে জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, যাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া এই কাজ সম্ভব হত না তাদেরকে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা হলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভাই, উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকি। আরও আছেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান ভাই এবং তার টিমের কর্মকর্তাদেরকে। লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, ‘কবি নজরুল ইন্সটিউটের দায়িত্ব পাওয়ার পর ৪ মাসের মধ্যে একটা দীর্ঘ দিনের দাবি বাস্তবায়িত করতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরীয়া আদায় করছি- আলহামদুলিল্লাহ। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রথম জানতে পারলাম যে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুলের প্রত্যক্ষ অফিসিয়াল কোন স্বীকৃতি নেই। যেটা আছে সেটা পরোক্ষভাবে নজরুল ইনস্টিটিউট এর অর্ডিন্যান্স হিসেবে, এবং মুখে মুখে প্রচলিত স্বীকৃতি।’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম দিন নজরুলের কবর জেয়ারত করে পণ করেছিলাম যে এই কাজটা আমি করব। আলহামদুলিল্লাহ সেটা করতে পেরেছি। আর নতুন বাংলাদেশ এখন দাঁড়িয়ে আছে নজরুলের দ্রোহ প্রেম ও সাম্য চেতনার ওপর। ইনশাল্লাহ এই চেতনাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা কাজ করে যাব।’ খুব তাড়াতাড়ি এই খুশি উদযাপন করবেন বলেও জানান কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক। কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সরকারি উদ্যোগে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তাঁর বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরপর ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মানসূচক পদক একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।  ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তারিখে বঙ্গভবনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহ নজরুলকে ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।  কবি নজরুল ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। নজরুল তার একটি গানে লিখেছেন, ‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’। এই ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তার নামাজে জানাজায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ শরিক হন। জানাজার পর রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, রিয়াল এডমিরাল এম এইচ খান, এয়ার ভাইস মার্শাল এ জি মাহমুদ, মেজর জেনারেল দস্তগীর জাতীয় পতাকা-মোড়ানো নজরুলের মরদেহ বহন করে সোহরাওয়ার্দী ময়দান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে যান। বাংলাদেশে তার মৃত্যু উপলক্ষে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালিত হয়।  পরবর্তীকালে তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়। ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস, ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ্র দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারী’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।  কিন্তু সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে ইতিপূর্বে সরকারিভাবে কোনো গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।

বিধিনিষেধের মধ্যেই আতশবাজি, উচ্ছ্বাস-উল্লাসে বর্ষবরণ

ঘড়িতে রাত ১২টা বাজতেই রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। পটকা ও আতশবাজির শব্দে একাকার হয় পুরো নগরী। ঢাকার বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে ছোট–বড় সবাই মিলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলতে থাকে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লিখে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানো। এভাবে নানা আয়োজনে ২০২৫ সালকে বরণ করে নিল মানুষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও বিধিনিষেধের বেড়াজালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বর্ষবরণে তারুণ্যের সেই উদ্দামতা দেখা যায়নি। সন্ধ্যা থেকেই তল্লাশিচৌকি বসানোয় সেখানে বাইরের মানুষ যেতে পারেননি। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী টিএসসিতে জড়ো হয়ে উল্লাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। টিএসসিতে উৎসবের সেই রূপ দেখা না গেলেও রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে লোকজনকে আনন্দ–উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। রাত ১১টার পর থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এক পাশ মানুষ ও গাড়িতে ভরে যায়। রাত ১২টা বাজতেই উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা। পুরান ঢাকা, ধানমন্ডিসহ পুরো নগরীর প্রায় সব ভবনের ছাদেও ছিল উৎসব। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ছাদগুলো থেকে মুহুর্মুহু আতশবাজি ফাটানো হয়। বিভিন্ন এলাকা–সড়কেও আনন্দ–উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ঢাকার আকাশে আলোর ঝলকানি। এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‍্যালি ও শোভাযাত্রার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ষবরণ উৎসব উদ্‌যাপনের আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ারে ভেঙেছে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল। আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠেছে রাতের আকাশ।

গান নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ত্রিনিয়া হাসান 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলা আধুনিক গানের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ত্রিনিয়া হাসান। স্টেজশো, টিভি অনুষ্ঠান ও নতুন গান নিয়ে কাটছে তার সময়। বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এই শিল্পী বলেন, এখন স্টেজশো'র পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও নিয়ে বেশি ব্যস্ত। ইতোমধ্যে দু'টি গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর আরটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে 'দোতারা বাজায়'  শিরোনামে একটা মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে। আরেকটি গানের মিউজিক ভিডিও নতুন বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে 'সং হাব' ( Song hub)এ মুক্তি পাবে বলে আশা করেন ত্রিনিয়া। এছাড়াও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে লাইভ প্রোগ্রাম  করা হয়েছে নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী ত্রিনিয়া জানান সাম্প্রতি দেশে বেশ  কিছু অনুষ্ঠানের শুটিং ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, যেগুলো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দিকে প্রচার হবে। এর মধ্যে   অন্যতম অনুষ্ঠান হচ্ছে  আরটিভির 'এই রাত তোমার আমার'। এছাড়াও দেবাশীষ বিশ্বাসের পরিচালনায় 'তুমি যেখানে আমি সেখানে' ছায়াছবির  প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে তার গান রেকর্ড করা হয়েছে।  আরো কয়েকটি  ছায়াছবির গান তার হাতে আছে, যা আগামী বছর  ২০২৫ সালে দর্শকদের সামনে আস্তে আস্তে আসবে বলে জানান ত্রিনিয়া। তিনি প্রচুর বিজ্ঞাপন এবং নাটকের অফার পেয়েছেন, কিন্তু তিনি আপাতত গান ছাড়া অন্য কোন শিল্পাঙ্গনে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন না। ত্রিনিয়া উত্তর আমেরিকা এবং বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল এবং ব্যস্ততম নারী গায়িকা। সঙ্গীত জগতে অল্প বয়স থেকেই ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০২১ সালে তার  'অপেক্ষা' শিরোনামের প্রথম একক অ্যালবাম এবং ২০২২ সালে দ্বিতীয় একক অ্যালবাম 'পিরিতের মায়া' প্রকাশ করেন। ২০২৪ সালে তার তৃতীয় একক 'ধূপ ছায়া' এবং চতুর্থ একক 'মন পাখি' প্রকাশিত হয়। একজন প্রতিশ্রুতিশীল গায়িকা হিসেবে ত্রিনিয়ার গানের শৈলী জনসাধারণের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং তাকে আরও বেশি সাড়া ও স্বীকৃতি এনে দেয়। শিল্পী ত্রিনিয়া হাসান বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের একটি সাংস্কৃতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তাদের পরিবারের প্রায় সবাই গায় গেয়ে থাকেন এবং গানের প্রতি তাদের রয়েছে অনুরাগ। ত্রিনিয়ার সঙ্গীতে হাত ও গলায়খড়ি তার বাবা জিয়াউল হাসানের কাছ থেকে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারের একজন সঙ্গীত পরিচালক।  তার পিতা বাংলাদেশের টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। পরবর্তীতে তিনি বিখ্যাত গায়ক ও সুরকার অনুপ ভট্টাচার্যের কাছ থেকে গান শেখার সুযোগ পান। বর্তমানে তিনি একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠাং'ইন্দুবালা মিউজিক একাডেমি' থেকে গান শিখছেন। কারণ ত্রিনিয়া বিশ্বাস করেন যে সঙ্গীত বিশাল এবং তার এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি রয়েছে। ত্রিনিয়া বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লোবাল বিজনেস নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি ২০২১ সালে উত্তর আমেরিকার সেরা গায়ক হিসাবে ঢালিউড পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও সেরা গায়ক হিসাবে এনআরবি পুরস্কার এনওয়াই ২০২২ টেক্সাস, ওকলাহোমা এবং মিশিগান ইত্যাদি থেকে অন্যান্য পুরস্কার পেয়েছেন ত্রিনিয়া।