বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ড. সুলতান আহমেদ আল জাবের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘তারা প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে খুবই আগ্রহী।’
জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের চেয়ারম্যান এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ডক্টর আহমেদ। তিনি বলেন যে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে দুটি দল পাঠাবেন। এর মধ্যে এক দল নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে আলোচনা করবে এবং আরেকটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবে।
বৈঠকে প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
সুলতান আহমেদ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ দূত এবং ২৮তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৮)-এর প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এই বিষয়ে তার আরও সমর্থন আশা করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। ড. সুলতান আহমদ বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের ক্রীড়নক হতে চাই।’ তিনি বলেন আরও, তারা কপ-২৮ এর আগেই সমস্যা সমাধানের জন্য জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের উপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সবুজ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কপ-২৮ থেকে একটি ইতিবাচক প্রভাব পেতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কপ-২৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে প্যারিস চুক্তির বৈশ্বিক হিসাব-নিকাশ জড়িত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বিষয়ে অগ্রগতির ও ঘাটতির বাস্তব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। যা বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন,পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
Comments