উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উজবেকিস্তান ফার্মাসিটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির পরিচালক আব্দুল্লাহ আজিজভের মধ্যে গতকাল শুক্রবার (১লা আগস্ট, ২০২৫) এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে দূতাবাসের প্রথম সচিব শুক্লা বনিকসহ ফার্মাসিটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ডক্টর ইসলাম বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের বিকাশ এবং ওষুধের গুণগত মানের বর্ণনা দিয়ে বিশ্ববাজারে এর অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান প্রসারের কথা তুলে ধরেন। উজবেকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশের প্রস্তুতকৃত ঔষধের প্রবেশাধিকারকে আরো সহজ ও ব্যাপক করার বিষয়ে তিনি উজবেকিস্তান ফার্মাসিটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি ওষুধের রেজিস্ট্রেশনের সময় ও ব্যয় কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য তাকে অনুরোধ করেন।
দু'দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ফার্মাসিটিক্যাল সেক্টরে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন ।
উজবেকিস্তান তার চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ ঔষধ বিদেশ থেকে আমদানি করে উল্লেখ করে ফার্মাসিটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির প্রধান আজিজভ বাংলাদেশ থেকে ঔষধ আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত একটি বাংলাদেশি ডেলিগেশন উজবেকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান। ফার্মাসিটিক্যাল খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি এ খাতে উজবেকিস্তান সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ, পদক্ষেপ ও প্রণোদনা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। এ খাতে দু'দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পূর্ণ করার বিষয়ে তিনি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী, বিশেষ করে ওষুধ শিল্প সহযোগিতাকে বেগবান ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে উভয়ই আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়।
Comments