
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দৈনিক ৫০ থেকে ৫৪ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটির ‘রেড জোন’ ঘোষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ‘ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে মশকনিধনে জনসম্পৃক্ততা’ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
ঢাদসিক মেয়র বলেন, আমরা এডিস মশার প্রজন্মস্থল ধ্বংস করার কার্যক্রম গতিশীল রেখেছি। তার ফলে এক মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকায় এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল। প্রতিদিন যে তদারকি করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনন্দিন ৫০ থেকে ৫৪ জন করে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং আমরা মনে করি যে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। যেন এটা কোনোভাবেই আর বাড়তে না পারে, সেজন্যই আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম।
সবাই সচেতন হলে অচিরেই ডেঙ্গু রোগী আরও কমবে, উল্লেখ করে মেয়র বলেন, গত সপ্তাহে ১৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই, আমরা এই দুটি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করেছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সেজন্য আমরা এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সব বাসা, স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আমরা দিনব্যাপী ব্যাপক চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করি, এতে এলাকাবাসী আরও সচেতন হবে এবং অচিরেই রোগী সংখ্যা আরও কমবে।
পরে ঢাদসিক মেয়র ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি এলাকায় কয়েকটি বাসা ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফ্ফার ও শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Comments