
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যৎ–মুখী ও পরস্পরের জন্য সহায়ক সম্পর্ক চায় ভারত। যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার থাকবে দুই দেশের জনগণ।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রণয় ভার্মা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন মৈত্রী দিবস-২০২৫-এর ৫৪তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মৈত্রী দিবস সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে, যখন ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল—বাংলাদেশের প্রকৃত মুক্তির ১০ দিন আগে। এই ঐতিহাসিক সহায়তা বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামকে আরও গতি দিয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার স্বীকৃতি পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই দিনটি ভারত ও বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন একটি মাইলফলক, যা কখনো মুছে যাবে না।
প্রণয় ভার্মা আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একসঙ্গে কাজ করবে এবং অতীতের যৌথ ত্যাগের প্রেরণায় ও ভবিষ্যতের নতুন আকাঙ্ক্ষার পথনির্দেশে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলবে।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন, যেখানে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন ও শিল্পকলার সমৃদ্ধি ফুটে ওঠে। আরও ছিল নাটক, নৃত্যকলা ও শিরোনামহীন ব্যান্ডের সংগীত পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, তরুণ প্রজন্ম ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments