লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১১৩ জন ও বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ২৭ জন বাংলাদেশি সহ সর্বমোট ১৪০ জন অভিবাসীকে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় আজ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারা আজ সকাল সাড়ে ৬ টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই লক্ষ্যে দূতাবাসের টিম একাধিকবার দারনা শহর সফর করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এছাড়া দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদেরকে জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে দারনা শহরে বন্যা কবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে দেশে প্রত্যাবাসনে কিছুটা বিলম্ব হয়।
প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সকল বাংলাদেশী নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর কর্মকর্তাবৃন্দ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। এসময় আইওএম এর পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৯১৯ টাকা এবং কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান বিমানবন্দরে ফিরে আসা অভিবাসীদের সাথে কথা বলেন। তিনি বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক অভিবাসীদের বাড়ীতে ফিরে যাবার পর লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। অবৈধ উপায়ে টাকা খরচ করে কিংবা দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশের উদ্দেশে আর কেউ যাতে যাত্রা না করে সে বিষয়ে পরিচিতদের সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ জানান পরিচালক (কল্যাণ)।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এবং লিবিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্র কমিটির সভাপতি সাজাহান মিয়া, সহ-সভাপতি হালিম মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমা আখতার খুশি সহ নেতৃবৃন্দ প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বেনগাজীর বেনীনা বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্থসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এবং আইওএম এক সাথে নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ত্রিপলি ও বেনগাজীর ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ বিপদগ্রস্থ মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অনিয়মিত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।
Comments
Latest
Popular
'বাতিলের তালিকা সঠিক নয়’, ভারতের সঙ্গে কোন চুক্তির কী অবস্থা, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১
সরকারের পক্ষে সবকিছু মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব নয়
২
বাংলাদেশ–কুয়েত প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
৩
মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল ২০২৫’ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
৪
আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৭ ঘণ্টা পর সচল শাহজালাল বিমানবন্দর
৫
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এখনও জ্বলছে
৬
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন
৭
পৃথক ভূখণ্ডে সাহসের একই কালিতে লেখা আলজেরিয়া আর বাংলাদেশের ইতিহাস: রাষ্ট্রদূত আবদেলউহাব সাইদানি
৮
ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা
৯
বাংলাদেশে গুমের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু গুরুত্বপূর্ণ, নির্বিচারে আটকদের মুক্তি জরুরি