
সুদানে সন্ত্রাসীদের হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ শনিবার খুদে বার্তায় এ কথা জানায়।
আইএসপিআর জানায়, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আটজন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ চলমান রয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সুদানের কোরদোফানের কাদুগলি এলাকায় জাতিসংঘের ভবনে হামলা হয়েছে। এই হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে সুদানের সেনা–সমর্থিত সরকার। সরকারের এক বিবৃতিতে, এ হামলার জন্য সরকারবিরোধী আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে দায়ী করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন দিয়ে জাতিসংঘের ওই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সার্বভৌম পরিষদ (সোভারেনটি কাউন্সিল) এই হামলাকে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে উল্লেখ করেছে।
কাদুগলি শহরে গত নভেম্বরের শুরুতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়। শহরটি প্রায় দেড় বছর ধরে আরএসএফ অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
কোরদোফান একটি বিস্তৃত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল, যা তিনটি রাজ্যে বিভক্ত। এটি পশ্চিমে আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত দারফুর এবং উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত এলাকার মাঝখানে অবস্থিত।
সরবরাহ লাইন বজায় রাখা ও সেনা স্থানান্তরের জন্য কাদুগলির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক আরএসএফ দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে তারা যোদ্ধা, ড্রোন ও মিত্র মিলিশিয়া মোতায়েন করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সুদানের মধ্যাঞ্চলের চারপাশে সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেদ করার লক্ষ্যেই আরএসএফ এই পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে খার্তুম পুনর্দখলের পথ তৈরি করা যায়।
Comments