লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাবাতিয়া প্রদেশের ‘হাসবিয়া’ শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
লেবানিজ ত্রাণকর্মীদের বরাতে তেহরানভিত্তিক পার্সটুডে জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ইসরাইলি বিমান হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, হাসবিয়া শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকরা থাকতেন। ওই হোটেল লক্ষ্য করে দখলদার সেনারা বিমান হামলা চালায়। এসময় সাংবাদিকরা ঘুমিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলায় নিহত তিন সাংবাদিক হলেন- আল-মায়াদিনের ক্যামেরাম্যান গাসসান নাজ্জার, তার সহকর্মী লাইভ ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রেজা এবং তৃতীয়জন ওসাম কাসেম। তিনি ছিলেন আল-মানার টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান।
আল-মায়াদিন নেটওয়ার্কের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গাসসান বিন জাদো জানিয়েছেন, দখলদার বাহিনী সাংবাদিকদের বাসস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা ছিলো সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। ওই হামলায় অন্যান্য আরব নেটওয়ার্কের লোকজনও আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিন জাদো সাংবাদিকদের টার্গেট করার জন্য ইহুদিবাদী বাহিনীকে দায়ী করেছেন এবং ওই বর্বর পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
এসই সঙ্গে তিনি গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিকরা যেন গাজা ও লেবাননে দখলদারদের ক্রমাগত অপরাধের খবরাখবর কভারেজ দেয় তার ওপর জোর দেন।
পাকিস্তানে বন্দুক হামলায় ১০ সীমান্ত পুলিশ নিহতপাকিস্তানে বন্দুক হামলায় ১০ সীমান্ত পুলিশ নিহত
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
বেসামরিক ফিলিস্তিনি ছাড়াও গেলো এক শতাধিক সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে গেলো বছর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। এর জেরেই লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে প্রায় দুই মাস ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে।
Comments