বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর)। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় অবদান রেখে বাংলা ভাষার দিগন্তকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় জন্ম নেয়া সৈয়দ শামসুল হক। সাহিত্যিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন অল্প বয়সেই। ১৯৫৪ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ তাস প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস এক মহিলার ছবি (১৯৫৯) এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ একদা এক রাজ্যে (১৯৬১)।
নাট্যকার হিসেবে তার শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নূরল দীনের সারাজীবন, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, গণনায়ক এবং ঈর্ষা। উপন্যাসে তার অন্যতম রচনা খেলারাম খেলে যা, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন। কাব্যজগতে তিনি পরানের গহিন ভিতর, নাভিমূলে ভস্মধার, আমার শহর ঢাকা এবং বৃষ্টি ও জলের কবিতা দিয়ে পাঠকদের মুগ্ধ করেছেন।
লেখালেখির পাশাপাশি, গান রচনার ক্ষেত্রেও তিনি অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। তার লেখা জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে হায় রে মানুষ রঙিন ফানুস, অনেক সাধের ময়না আমার, তোরা দেখ দেখ দেখ রে চাহিয়া এবং চাঁদের সাথে আমি দেব না তোমার তুলনা।
শামসুল হক তার দীর্ঘ কর্মজীবনে একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছেন।
Comments