ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ৫ আগস্ট যথাযথ মর্যাদায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন করেছে।
২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে বাংলাদেশ সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রোমে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটির উপর নির্মিত সরকার কর্তৃক প্রেরিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত গ্রাফিতি, আলোকচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অনন্য অবদানকে তুলে ধরা হয়।
ইতালিতে বসবাসরত বিশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিক ও কমিঊনিটির নেতৃবৃন্দ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সরকারের কাছে তাঁদের এই অবদানের স্বীকৃতি দাবি করেন। এছাড়াও, কন্স্যুলার সেবার মানোন্নয়ন ও প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাসের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
তিনি বলেন অন্তর্বর্তিকালীন সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তথা একটি বৈষম্যহীন, আত্মমর্যাদাশীল নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ও জুলাই আন্দোলনে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রদূত তাঁদের প্রশংসা করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-এর চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রবাসীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য শেষ করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
Comments