জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ৪ গুণী ব্যক্তিত্বকে ‘নজরুল পুরস্কার-২০২৪’ প্রদান করেছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
নজরুল পদক-২০২৪ প্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন- গবেষণায় ড. গুলশান আরা কাজী ও অনুপম হায়াৎ এবং সংগীতে ডালিয়া নওশিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। গুলশান আরা কাজী বিদেশে অবস্থান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে আগত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পড়িয়ে দিয়ে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আজ যাদের নজরুল পদক দিয়েছে তাদের সবাইকে আমার অভিনন্দন। আদতে আপনারা নজরুল সংগীতচর্চা ও প্রিয় কবির অবদানকে তরুণ প্রজন্মের কাছে ও বিশ্বময় তুলে ধরছেন। আজকের পদক তারই স্বীকৃতি। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে খুঁজে পুরস্কৃত করছে। এটা খুবই বড় একটা বিষয়।
কবি নজরুল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, নজরুল আমাদের কাছে বিস্ময়। নজরুলের কিন্তু শিক্ষাগ্রহণের তেমন সুযোগ ছিল না। কবিতা তার ভেতর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসেছে। নজরুল বাংলা কবিতায় ‘বিদ্রোহের’ একটি ধারণা আবিষ্কার করেছেন যেটি এর আগে বাংলা সাহিত্যের আর কেউ করতে পারেনি।
নজরুলকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে তাঁর কবিতার তীব্রতা, তাঁর জীবনের আদর্শকে যেমন সঞ্চারিত করতে হবে তেমনি কবি হিসেবে নজরুলের যে অবস্থান ছিল সেটিও আলোকপাত করতে হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকের দিনটি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অন্যতম মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আশা করি আগামীতে নজরুল পদক প্রদানের এই অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত হলেও শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দাগ কেটে যাবে।
নজরুল পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের হাতে পদক তুলে দিয়ে আমরা আজকে ধন্য হলাম। আপনারা এই পদক গ্রহণ করে আমাদের ধন্য করেছেন। আপনাদের সকলকে আমাদের বিশেষ ধন্যবাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ ছাড়া পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার।
এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানো আয়োজন করা হয়।
Comments