পোর্ট লুইসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই- পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) মো: আসাদুজ্জামান।
উপ- প্রকল্প পরিচালক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহি ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তিনি ই-পাসপোর্টের প্রযুক্তি ও সঠিক ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ ২০২৪ এর জুলাই -আগস্ট ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং গৌরবান্বিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে মরিশাসের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর হবে এবং আমাদের নাগরিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে ও বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সাথে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মান ও মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করবে।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার দিক থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইস, মরিশাস ৫৮তম বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হিসেবে এর শুভযাত্রা শুরু করায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
হাইকমিশনার মরিশাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সস্মিলিত প্রচেষ্টা ও কর্মের মাধ্যমে দেশের সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানান।
ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুকরনের অংশ হিসেবে হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ ও উপ-প্রকল্প পরিচালক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহি দুইজন আবেদনকারীর নিকট ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন। পরে হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ-কে একটি ক্রেস্ট প্রদান করেন লে: কর্ণেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহি।
এরপরে হাইকমিশনার ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম ও এ্যানরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, এখন থেকে মরিশাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মরিশাসের বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, মরিশাসে কর্মরত শ্রমজীবীবৃন্দ, ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণকারীগণ, ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা হতে আগত সদস্যবৃন্দসহ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Comments