নেপালের কাঠমান্ডুতে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১ গোলে ভারতকে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ভারত তিন পয়েন্ট নিয়ে রানার্স-আপ হয়েছে। অন্যদিকে এক পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে।
বুধবারের ম্যাচের সমীকরণটা বাংলাদেশের জন্য খুব একটা কঠিন ছিলো না। ড্র করলেই সেমিফাইনাল খেলতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠে নেমে আগের সব সমীকরণ বদলে দেন সাবিনারা। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ শিবিরে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে গোল পেতেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি।
১৮তম মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের নেওয়া কর্নার শট প্রতিপক্ষ গোলকিপার ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল গোলকিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে ডি বক্সে থাকা আফঈদা খন্দকারের সামনে পড়ে। তিনিও এমন সুযোগ হেলায় হারাননি। ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান এই ডিফেন্ডার। ম্যাচে লিড নেয় বাংলাদেশ।
২৫তম মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। ঋতুপর্ণা চাকমার দারুণ ক্রস গোলমুখে পড়লেও কেউ সেটাকে গোলে রূপ দিতে পারেননি। এর মিনিট দুয়েক পর ঋতুপর্ণার আরেকটি ক্রস পোস্টের একেবারে কিনারায় গিয়ে থামে। ভারতের গোলকিপার বলটা গ্লাভসবন্দি করার আগেই আলতো শটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন তহুরা খাতুন। এবার অন্তত হাঁফ ছেড়ে বাঁচা যায়।
তবে দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরও বাংলাদেশ তাদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে যায়। যে কারণে স্কোরলাইনে যোগ হয় আরেকটি গোল। বিরতিতে যাওয়ার আগে ডি বক্সের বাইর থেকে সেই তহুরা আদায় করে নেন নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি। এর মাঝে ভারতও কম চেষ্টা চালায়নি। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের পাহারা পেরোতে পারলেও গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা রুপনাকে ফাঁকি দেওয়া ভারতের ফরোয়ার্ডদের জন্য কষ্টসাধ্যই হয়ে যায়।
৩৫ থেকে ৪০, এই পাঁচ মিনিটেই দারুণ দক্ষতায় দুটি আক্রমণ প্রতিহত করেন রুপনা। যদিও তৃতীয়বারের চেষ্টায় আর সফল হতে পারেননি এই বাংলাদেশি গোলকিপার। ৪২তম মিনিটে দালিমার নেওয়া কর্নার শট ঠেকিয়ে দিতে চেয়েও পারেননি রুপনা। বল তাঁর গ্লাভস ছুঁয়ে সামনে চলে যায়। আর ফাঁকায় পেয়ে হেডে বলটাকে জালে পাঠান ভারতের অধিনায়ক বালা দেবী।
১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, চোখ রাঙাচ্ছে প্রোটিয়ারা১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, চোখ রাঙাচ্ছে প্রোটিয়ারা
একটি গোল শোধ করে প্রথমার্ধ শেষ করে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে পাঁচ গোল দেওয়া ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে তারা একটু খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা চালায়। কিছুতেই যাতে বল বাংলাদেশের খেলোয়াড়ের দখলে না থাকে সেই কাজটা বেশ মন দিয়ে করে যায়। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। শেষদিকে ভারতের একাধিক আক্রমণ আটকে যায় বাংলাদেশের গোলকিপার রুপনার কাছে।
Comments