ইতিহাস গড়ে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ। বিশ্বের ১২০ জনেরও বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ‘বিশ্ব সুন্দরী’ খেতাব জিতে নেন ২১ বছর বয়সী এ তরুণী। ইতিপূর্বে দেশটি থেকে কোনো প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হননি। খবর সিএনএন।
মেক্সিকো সিটিতে গত শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন নাইজেরিয়ার চিদিম্মা আদেতশিনা আর দ্বিতীয় রানারআপ মেক্সিকোর মারিয়া ফার্নান্দা বেলট্রান।
এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা। যেখানে ১২০ জনের বেশি প্রতিযোগীকে হারিয়েছেন ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ এবং এই প্রতিযোগিতায় তিনিই প্রথম ডেনিশ বিজয়ী। ভিক্টোরিয়া একাধারে নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যৎ আইনজীবী।
মুকুট গ্রহণের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান মিস ইউনিভার্স শেইনিস প্যালাসিওস। মিস ইউনিভার্সের এই জমকালো আয়োজনে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী রবিন থিক, এবং উপস্থাপনায় ছিলেন মারিও লোপেজ ও প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স অলিভিয়া কালপো।
প্রাথমিক রাউন্ডে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই ৩০ প্রতিযোগী থেকে সেমিফাইনালের তালিকা করা হয়। তাদের নিয়ে সাঁতারের পোশাকে প্যারেড হয় এবং গাউন প্রতিযোগিতা হয়। সেখান থেকে চূড়ান্ত পাঁচ প্রতিযোগীর প্রশ্নোত্তর পর্বে পাঠানো হয়।
নেতৃত্বের গুণাবলি ও মনোবলের দৃঢ়তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় সকলকে। সেখানে থিলভিগকে প্রশ্ন করা হয়, কেউ যদি আপনাকে মূল্যায়ন না করত, তাহলে আপনি কীভাবে জীবনযাপন করতেন? উত্তরে থিলভিগ বলেন, আমি কিছুই বদলাতাম না, কারণ আমি প্রতিটি দিনকে উপভোগ করি।
দর্শকদের উদ্দেশ্য করে নতুন এই মিস ইউনিভার্স বলেন, যে যেখান থেকেই আসুন না কেন, কখনও হাল ছাড়বেন না। আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি কারণ আমি পরিবর্তন চাই এবং আজ আমি ইতিহাস তৈরি করছি।
মিস ইউনিভার্সের শীর্ষ পাঁচে আরও ছিলেন থাইল্যান্ডের সুচাটা চুয়াংস্রি এবং ভেনেজুয়েলার ইলিয়ানা মার্কেজ পেড্রোজা। পেড্রোজা, যিনি একজন ২৮ বছর বয়সী মা। মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ২৮ বছরের বেশি বয়সী নারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে ৯৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। হিসেবের তালিকায় সেই বছর এখন দ্বিতীয় স্থানে। মারিও লোপেজ় ও অলিভিয়া কুল্পো সঞ্চালিত এই অনুষ্ঠানের লাইভ কমেন্টারি করছিলেন ক্যাট্রিওনা গ্রে ও জ়ুরি হল। ৭৩তম মিস ইউনিভার্সের ফাইনালিস্টদের তালিকায় ছিল পাঁচ দেশ, ডেনমার্ক, ভেনেজ়ুয়েলা, মেক্সিকো, নাইজিরিয়া, থাইল্যান্ড। তাদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে ডেনমার্ক।
Comments