বাংলাদেশে আন্দোলন-বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপরই আলোচনা শুরু হয়েছে, এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা নিয়ে। বাংলাদেশের সংবিধান কিংবা কোনো আইনে এই সরকার ও এর মেয়াদ সম্পর্কে কিছু বলা না থাকায়, এ নিয়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছে জাতিসংঘ।
সোমবার (১২ আগস্ট) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হককে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
প্রশ্নটি ছিল এমন- প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, কার্যকর অর্থনীতি, গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার গড়ে তুলতে কতদিন বহাল থাকতে পারে, সে বিষয়ে জাতিসংঘের অনুমান কি?
জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং আশা করছি, সরকার গঠনের জন্য একটি উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। গণতান্ত্রিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দ্রুত একটি সময়সীমা জানানো হবে।’
এরপর জানতে চাওয়া হয়, ‘আন্দোলনের সময় তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরও অনেক গণমাধ্যমের অফিস ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষেও লুটপাট করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের কোনো মন্তব্য বা বিবৃতি আছে কি না।’
জবাবে ফারহান হক বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় যেকোনো কারণেই হোক না কেন, আমরা সাংবাদিকদের ওপর সব ধরনের হামলার বিরুদ্ধে। যেসব হামলার খবর আসছে, তাতে আমরা শঙ্কিত।’
এর আগে ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং মানবাধিকারের প্রতি তাদের পূর্ণ সম্মানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ও সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সংসদীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। এ জন্য সরকারকে সমাজের সব শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের কথা শোনার আহ্বান জনানো হয়।
Comments