বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ সাড়ম্বরে উদযাপনে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ এবং বিহু ক্রিয়েশন যৌথ আয়োজনে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা উৎসব এবং নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রার সমাপনী আয়োজন।

ভারতের রাজধানী দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বিপিনচন্দ্র পাল ট্রাস্ট মিলনায়তনে আজ বিকেল ৩টায় তিন তিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে যোগ দিতে বাংলাদেশের একটি বড় সাংস্কৃতিক দল ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে। 

উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশিষ্ট সমর বিশেষজ্ঞ ড. মেজর জেনারেল পি কে চক্রবর্তী। আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি তাপস হোড়ের সভপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনের বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। আয়োজনের উদ্বোধন করবেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি স্পিকার মো. নুরুল ইসলাম।

উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে পৌঁছায় বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা ব্যানার্জী ও তার নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যনন্দনের শিল্পীরা। এসেছেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম এবং নাট্যজন নাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে নাট্যদল ঢাকা পদাতিক এর নাট্যকর্মীরা।  

স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান জীবনাদর্শনকে উপজীব্য করে ঢাকা থেকে শুরু হওয়া নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনাযাত্রার কলকাতা হয়ে দিল্লিতে এই উৎসবে যোগ দিবেন ।

আয়োজকরা বলেছেন, দুই বঙ্গের খ্যাতিমান শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা মুক্তি সংগ্রামের অভিন্ন চেতনার বাণী বহন করে যোগ দেবেন এই উৎসবে।