সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের চমৎকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেছেন, আইসিটি খাতের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় বিশ্বব্যাংক সহায্য অব্যাহত রাখবে। আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় মন্তব্য করার সময় ট্রটসেনবার্গ বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক উভয়েই আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি স্টার্টআপ চর্চার বিকাশে বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং তরুণ প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভার উপর জোর দেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছি, যেখানে সিটিজেন গভমেন্ট, স্মার্ট গভমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি- এই চারটি স্তম্ভের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৪০টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি’ (ইডিজিই) প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রশংসা করেন, যা স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের সাহায্য চেয়ে পলক বলেন, নতুন ডাটা সেন্টার নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্মার্ট ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপনে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচারের জন্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩৫ টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ স্টার্টআপের উপর আলোকপাত করে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। তিনি বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনা অনুসরণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে অন্তত ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ কোম্পানি তৈরি করবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এজ প্রকল্পের উপদেষ্টা সামি আহমেদ, এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (এজ) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেজার, এসএসিবিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই সেক, ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিড রাজেশ রোহাতগি এবং ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্ণা রায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ।
বিশ্বব্যাংক অর্থায়নকৃত এলআইসিটি প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর, তিনজন সুবিধাভোগী তাদের সাফল্যগাঁথা বর্ণনা করেন। একই সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আইবাস প্লাস প্লাস পরিচালনাসহ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ই-সেবাগুলো চিত্রিত করেছেন। পরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত ডেটা সেন্টার ও আইডিয়া প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
Comments