পুলিশের বিশেষ শাখা এপিবিএনের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’র দেয়া তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
আজ দুপুরে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে 'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যেসব কথা বলেছে, আমার মনে হয় তা তথ্যভিত্তিক নয়। তাদের আরও ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে এসব প্রতিবেদন করা উচিত।
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অপকর্মের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা ক্যাম্পের ভেতরে ইয়াবার ব্যবসা করে। বিভিন্ন সাব গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি করছে। প্রতিদিন তারা মারামারি করছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তমব্রু ক্যাম্পে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। গতকালও সেখানে গোলাগুলি হয়েছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের জন্য 'বিষফোঁড়া' উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সবকিছু ফেলে এখানে এসেছে এবং তারা যে কোনো প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে যে কোনো কিছু করতে পারে।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন গ্রুপ-সাবগ্রুপে বিভক্ত হয়ে অপরাধ সংঘটিত করছে। তারা কাঁটাতারের বেষ্টনী কেটে মিয়ানমারে গিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, কাজেই সেখানে আমাদের নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন দেওয়া হয়েছে।
এপিবিএন সম্পর্কে হিউম্যান ওয়াচকে আরও বেশি সরজমিনে তথ্য নিয়ে রিপোর্ট করার কথা বলেন মন্ত্রী কামাল।
কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোয় মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের নিরাপত্তায় আশ্রয়শিবিরে রয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা এপিবিএনের ক্যাম্প।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যে দল যখনই সভা-সমাবেশ করতে চাইছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের অনুমতি দিচ্ছে।
আমরা শুধু এটুকু বলি রাস্তাঘাট বন্ধ করতে পারবেন না, ভাংচুর করতে পারবেন না, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করুন, যাতে জনগণের দুর্ভোগ না বাড়ে। এর বাইরে আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তারা ইচ্ছেমতো প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলকে তাদের মতাদর্শ প্রচার বা সভা-সমাবেশে বাধা দেননি।