ভারতের রাজধানী দিল্লির ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিম বিহারের ডিপিএস আর কে পুরম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল আছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ই-মেইলের মাধ্যমে এই হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। খবর এনডিটিভির
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে দিল্লির ৪০টিরও বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দিল্লির যে ৪৪টি স্কুলে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে পশ্চিম বিহারের ডিপিএস আর কে পুরম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুলও রয়েছে। হুমকি পাওয়ার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হুমকিটি ইমেইলের মাধ্যমে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এনডিটিভির হাতে পাওয়া ওই ইমেইলের একটি অনুলিপি অনুসারে, রোববার রাতে ১১টা ৩৮ মিনিটে ওই ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল। ইমেইলে দাবি করা হয়েছে, ভবনের ভেতরে একাধিক বোমা রাখা হয়েছে। বোমাগুলো ছোট এবং খুব ভালোভাবে লুকানো আছে।
ইমেইল প্রেরক বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেছেন। ইমেইলে তিনি লিখেছেন, এটি ভবনের খুব বেশি ক্ষতি করবে না, তবে বোমা বিস্ফোরণে অনেক লোক আহত হবে। আপনারা সকলেই কষ্ট পাবেন এবং অঙ্গ হারাবেন।
এদিকে ইমেইলটি যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে পাঠানো হয়েছে দিল্লি পুলিশ তা তদন্ত করছে এবং ইমেইল প্রেরককেও খুঁজছে।
এনডিটিভি বলছে, সপ্তাহে স্কুল শুরুর প্রথম দিন সকালে কোলাহলের — স্কুল বাস আসছে, বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের নামিয়ে দিচ্ছেন এবং সকালের সমাবেশের জন্য কর্মীদের প্রস্তুতির — মধ্যেই বোমা হামলার হুমকি ও সতর্কতার কথা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট সকাল সোয়া ৬টায় জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল থেকে প্রথম এ বিষয়ে একটি ফোনকল পায় এবং তারপরে ডিপিএস আরকে পুরম থেকেও ৭টার পর আরেকটি ফোনকল আসে।
ডগ স্কোয়াড, বোমা শনাক্তকারী দল এবং স্থানীয় পুলিশসহ দমকল কর্মীরা স্কুলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এমনকি বোমা হামলার হুমকির ইমেইল ঘিরে দিল্লিতে ব্যাপক তুলকালাম শুরু হয়। অবশ্য স্কুলগুলোতে তল্লাশির সময় কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ২১ অক্টোবর ই-মেইলের মাধ্যমে একই ধরনের হুমকি এসেছিল, যাতে বলা হয়- সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স পুলিশের স্কুলগুলোতে পরদিন সকাল ১১টার মধ্যে বোমা ফুটবে। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু হয় এবং হুমকিটি ধাপ্পাবাজি বলে প্রমাণিত হয়।
Comments