মিয়ানমারে সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে এ পর্যন্ত বন্যায় ৭৪ জন মারা গেছেন এবং আরও ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে রোববার গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
গত সপ্তাহের শেষে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ডসহ পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। এ চারটি দেশের সরকারি হিসাবে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধ্বসে অন্তত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা মৃতের সংখ্যা ৩৩ বলে জানায়। এরপর বন্যা দেশটিতে আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দুই লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, ৬৫ হাজারের বেশি বাড়ি ও পাঁচটি বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশটিতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন গঠিত প্রতিরোধ বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো লড়াই শুরু করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। টানা সংঘাতে দেশটিতে ২৭ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ভিয়েতনামে ইয়াগির আঘাতে নিহত ২৫০ ছাড়িয়েছে ভিয়েতনামে ইয়াগির আঘাতে নিহত ২৫০ ছাড়িয়েছে
জান্তা বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতিরোধ লড়াইয়ের কারণে এমনিতেই গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে মিয়ানমার। এ অবস্থায় ঝড়–বন্যা–ভূমিধ্বস মিয়ানমারবাসীর দুর্দশা বাড়িয়েছে।
Comments