কূটনৈতিক প্রতিবেদক: গত বছরের এক জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বিদেশি কূটনীতিকদের মন থেকে জঙ্গি হামলার শঙ্কা এখনও দূর হয়নি বলে জানালেন ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিতি উইন্টার। তবে তিনি এও জানান, হলি আর্টিজান বেকারির ঘটনার পর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও বাংলাদেশের বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের ‘সন্তুষ্টি’ রয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কূটনৈতিক সংবাদদদাতা সমিতি, বাংলাদেশ-ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাবটক’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।
হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিতি উইন্টার বলেছেন, “ঝুঁকি বিচার করতে গেলে আমরা এখনও ঝুঁকিটা অনুভূব করি। আমাদের চলাফেলায় এখনও সতর্কতা বজায় রাখতে হয়।”
গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলায় নিহত হন ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে গুলশান হামলার মত ঘটনা আর না ঘটায় বিদেশি কূটনীতিকরা মানসিকভাবে স্বস্তি অনুভব করছেন। পাশাপাশি এই অনুভূতিও তাদের রয়েছে যে বিদেশিরা এখনও জঙ্গি হামলার হুমকিতে আছেন।
অবশ্য এই ঝুঁকি যে বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে, সে কথাও বলেন ড্যানিশ দূত। তার ভাষায়, কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা কার্যক্রম ‘ভালো’ হলেও মোটামুটি বিশ্বের ১৪০টি দেশে কম বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দারিদ্র্য নিরসন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ অর্জন করেছে। অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ডেনমার্ক বাংলাদেশে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, কৃষি, মানবাধিকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
ডেনমার্কে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ভোগ করায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
ডেনমার্কে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক হলেও ওষুধ, সিরামিক পণ্য এবং চামড়াপণ্য রপ্তানির বাজারও খোঁজা হচ্ছে।
Comments