যুক্তরাজ্যে বসবাসরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-জুয়াকের আয়োজনে শীতের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি কমিউনিটি হলে জুয়াকের সদস্যরা পরিবারিকভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলিম আল রাজির পরিচালনায় উৎসবের উদ্বোধন করেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখা এবং বাংলাদেশি সাংস্কৃতির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয় বলে জানান উৎসবের উদ্যোক্তা জুয়াকের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা জেবিন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন। বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক ইতিহাস নিয়ে বক্তব্য রাখেন জুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব পারভেজ মল্লিক। আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি ওয়াকারুল আমিন রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার ইফতি, ড. আসমা পারভিন মুক্তা, ফারহানা ইয়াসমিন চমন, ফারহানা খান একা, শোভা ও জান্নাতুননেসা চয়ন, জাকিয়া তাসনিম, সুমি আমিন, পান্না ইকবাল, নিপা চৌধুরী, রুমানা তুলি, তাহমিনা আহমেদ, এনি জামান , মুন্না রায়হান প্রমুখ।
উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন জহিরুল ইসলাম, রানা ইসলাম, আহসান উল্লাহ , রাকিব উদ্দিন শাহিন, হাবিবে আলম, আশরাফুল আলম, সিকান্দার আলি সিকো, নিয়াজ উদ্দিন, মতিয়ার রহমান মতিন, আনিসুর রহমান, মুকিত শামস জয়, জুলফিকার আলি ভুটটো , শফিকুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ওমর ফারুক জাভেদ, রায়হান, মাহামুদুল হাসান অয়ন ও সাইফ বিন আলম।
জুয়াকের সদস্যদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি পুলি পিঠা, তেলের পিঠা, পাটিশাপটা, হৃদয় হরন, ফুলঝুরি ,পোয়া পিঠা, মাংসের পিঠা, নকশি পিঠা, মুগ পাকন, নুন গড়া, মুরুলি, ঝিনুক পিঠা, দইবড়া, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, ছিট পিঠা, তালের পিঠা, নারিকেল পুলি, চই পিঠা, ঝাল পিঠা, নিমক পারা, বিবিখানা পিঠাসহ প্রায় ৩০ আইটেমের সম্ভার।
বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি বাহারি নামের এসব বৈচিত্র্যময় পিঠা স্বাদেও ছিল অতুলনীয়। এছাড়াও রকমারি ভর্তা, কাবাব, আর বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন পিঠা উৎসবকে দেয় ভিন্ন মাত্রা।
ঐতিহ্যবাহী রং-বেরঙের মনিপুরি শাড়ি পরে অংশ নেওয়া জুয়াকের সদস্যরা নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। উৎসবে মহিলাদের মিউজিক্যাল চেয়ার, পুরুষদের পিলো পাসিং আর শিশুদের জন্য ছিল পাস দা পার্সেল।
উৎসবে আগত অতিথিরা খেলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
Comments