সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গেলেন। এ ক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, তা তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
রোববার (১১ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। আর দুই সদস্য হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বুধবার রাতে থাইল্যান্ডে যান। থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি দেশ ছাড়েন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, এ কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। এ সময় কিছু বিষয় পর্যালোচনার কথা উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো–
গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন।
এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।
এ ক্ষেত্রে কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, উপরোক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে এই কমিটি প্রয়োজনীয় সকল দলিল পত্র, যন্ত্রপাতি, স্বাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সকল সংস্থা কমিটি প্রদত্ত নির্দেশাবলী পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
Comments