ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। কিন্তু টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কাছে পাত্তা পায়নি শান্ত-লিটনরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৯ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত। এতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং সাঞ্জু স্যামসন। কিন্তু ৭ বলে ১৬ রান করে রান আউট হন অভিষেক। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন সূর্যকুমার যাদব।
দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটতে থাকে ভারত। ১৪ বলে ২৯ রান করে ভারতীয় অধিনায়ক আউট হলেও, ১৯ বল খেলে ২৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন স্যামসন। এরপর দলের হাল ধরেন নিতিশ কুমার রেড্ডি এবং হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ পর্যন্ত নিতিশ কুমারের ১৬ রান এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ১৬ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংসে ভর করে ৪৯ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ একটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লিটন কুমার ৪ রান এবং ৯ বলে ৮ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার পারভেজ ইমন। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত।
দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ১৮ বলে ১২ রান ক্যাচ আউট হন হৃদয়। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও। ১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ৬ বলে ৮ রান করে জাকের আলি অনিক আউট হলে দলীয় ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা।
এরপর ২৫ বলে ২৭ রান শান্ত আউট হলে দলের হাল ধরেন মিরাজ। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে রিশাদ (১১), তাসকিন (১২), শরিফুল (০) এবং মোস্তাফিজ ১ রান আউট হলে ১ বলে হাতে থাকতেই ১২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তবে ৩২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।
Comments