তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরের গল্পটা শুধু আসা-যাওয়ার। মাঝে কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ১২৮ রান।
রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে আর্শদীপ সিংয়ের লেংথ ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপ এবং থার্ডম্যানের মাঝ দিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। এরপরের বলেই বিদায় নেন এলকেডি। অর্শদীপের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি অন সাইডে বড় শটের চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন লিটন। উইকেটের কাছ থেকেই ক্যাচ নেন রিঙ্কু সিং। তাতে এক চারেই শেষ হয়ে থাকল লিটনের ইনিংস।
নিজের ফেরার ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার লেগ স্টাম্পে করা ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন ইমন। তবে বাঁহাতি ওপেনারকে টিকতে দিলেন না অর্শদীপ। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হতে হয়েছে ইমনকে। ৯ বলে ৮ রান করেছেন বছর দুয়েক পর ফেরার ম্যাচে।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় ৪০ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৮ বলে ১২ রান করে আউট হন হৃদয়। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ বলে ১ ও জাকের আলি ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন।
মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৫ রানে ২৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে এসে এক ছক্কা ও এক চারে ৫ বলে ১১ রান করে ফিরে যান রিশাদ হোসেন।
এরপর তাসকিন আহমেদ ও মিরাজের ব্যাটে একশো পেরোয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১১৬ রানে ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হন তাসকিন। শেষ ব্যাটার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান আউট হলে পর্যন্ত ১৯ ওভার ৫ বলে ১২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ভারতের পক্ষে ভরুণ চক্রবর্তী ও আর্শদীপ সিং নেন ৩টি উইকেট।
Comments