ব্রুনাইয়ের বন্দর সেরি বেগাওয়ানে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রোববার (৪ ডিসেম্বর) ‘বাংলাদেশ খাদ্য ও সংস্কৃতি উৎসব ২০২২’ উদযাপন করা হয়। ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ব্রুনাই ফুড এওয়ার্ডস এর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে দেশীয় খাদ্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ কমিউনিটির একাধিক রেস্তোরাঁ।
বন্দর সেরি বেগাওয়ান অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন সোমবার জানিয়েছে, এই উৎসবের প্রথম পর্ব 'বাংলাদেশ স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যাল' এই শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয় বন্দর সেরি বেগওয়ানে ডি’গ্রিন সিলেট রেস্তোরাঁয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাইয়ের প্রাথমিক সম্পদ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইয়াং মূলিয়া দায়াং হাজাহ তুতিয়াতি বিনতি হাজি আব্দুল ওয়াহাব।
এছড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাইয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত অলোক অমিতাভ দিমরি, তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রদূত এবেল গুতেরেস এবং ‘ব্রুনাই ফুড এওয়ার্ডস’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাজী নাসির লতিফ। স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যাল এ মোট ৭টি বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ তাদের নিজ নিজ বিশেষ খাবার নিয়ে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা, প্রধান অতিথি, ভারত ও তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রদূত, ও ব্রুনাই ফুড এওয়ার্ডস এর সিইও হাজি নাসির এই ৭টি রেস্তোরাঁর সিগনেচার ডিশগুলির স্বাদ গ্রহণ করেন এবং বিচার করে স্কোর প্রদান করেন।
একই দিন বিকালে ব্রুনাইয়ের হোটেল রেডিসনে ‘বাংলাদেশ খাদ্য ও সংস্কৃতি উৎসব ২০২২’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন ব্রুনাইয়ের এটর্নি জেনারেল ইয়াং বেরহরমাত দাতো সেরি পাদুকা হাজি আহমেদ বিন পেহিন ওরাং কায়া লায়লা সেতিয়া বাক্তি ডি রাজা দাতো লায়লা উতমা হাজী আওয়াং ইসা, যিনি রিবন কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানের এই পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাইয়ের প্রাথমিক সম্পদ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রদূতসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।
বাংলাদেশ খাদ্য ও সংস্কৃতি উৎসব এর বিজ্ঞ বিচারকেরা ডি'গ্রীন সিলেট রেস্তোরাঁকে তাদের ‘বিফ বিরিয়ানি'র জন্য 'দ্যা বেস্ট ডিশ এওয়ার্ড’ প্রদান করেন। 'মিতা ও মেহেদী' রেস্তোরাঁ তাদের বিশেষ মিষ্টির জন্য দ্বিতীয় পুরুস্কারে ভূষিত হয়। আর তৃতীয় পুরস্কার যৌথভাবে গ্রহণ করে শান্তিনূর রেস্তোরাঁ (কাতল মাছের ঝোল) এবং বৈশাখী রেস্তোরাঁ (সরিষা ইলিশ)।
Comments