পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তÍচ্যুত রোহিঙ্গা ও জলবায়ু বাস্তÍচ্যুতদের জন্য বাংলাদেশের সক্রিয় আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এই বিশাল বাস্তÍচ্যুতদের ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কার্যকর এবং সক্রিয় সমর্থন প্রয়োজন।’
ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলার প্রাথমিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে, কারণ দেশটিতে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা তাদের পৈতৃক বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বাস্তÍচ্যুত হয়েছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে বেশ ভাল সংখ্যক বাস্তÍচ্যুত হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্যোগে আয়োজিত ১৩তম গ্লোবাল ফোরাম অফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে (জিএফএমডি) ভার্চুয়ালি বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অভিবাসন সম্পর্কিত সব সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী, অ-বাধ্যবাধকতা এবং সরকার পরিচালিত প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে কাজ করার মতো তাৎপর্যপূর্ণ ও স্বাতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো জিএফএমডি’র রয়েছে।
কার্যকর অভিবাসন প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দায়িত্ব, সহযোগিতা এবং অন্তর্ভুক্তি ভাগাভাগি করাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল কার্যক্রমের মূল কথা হচ্ছে অভিবাসীদের চূড়ান্ত স্বার্থকে সামনে রেখে আমাদের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
কোভিড-১৯ সময়কালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসময় বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে যে অভিবাসী শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়েই নীতিগত অবস্থান থেকে আমাদেরকে মজুরি, স্বাস্থ্য, চাকরি সুরক্ষা এবং পরিশেষে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে অভিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ এটি নিশ্চিত করার জন্য তিনি বলেন, জিএফএমডি’র মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এবং সমস্ত স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সহযোগীদের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
Comments