মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫
Tuesday, 03 June, 2025

৮ লাখের মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার যোগ্য: মিয়ানমার

কূটনৈতিক  প্রতিবেদক,ঢাকাডিপ্লোমেটডটকম
  05 Apr 2025, 01:19
মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা ফাইল ছবি: রয়টার্স

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া তালিকাভুক্ত ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার যোগ্য বলে জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। চূড়ান্ত যাচাই–বাছাইয়ের পর্যায়ে আছে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমানকে এ কথা জানিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার বৈঠক করেন তাঁরা।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে শুক্রবার দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০১৮-২০ সালে ছয় ধাপে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের তালিকা দেয়। সেই তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমারের নতুন দৃষ্টিভঙ্গিকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় অগ্রগতি বলছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের দেওয়া তালিকায় থাকা ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত যাওয়ার যোগ্য বলে শনাক্ত করেছে। এ ছাড়া চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে ৭০ হাজার রোহিঙ্গার নাম ও ছবি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর বাইরে আরও সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাইয়ের কাজ জরুরি ভিত্তিতে করবে জান্তা সরকার।
শুক্রবারের বৈঠকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতদের জন্য শোক জানানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মিয়ানমারের দুর্যোগপীড়িত জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত থাকার কথা জানানো হয়।
জানতে চাইলে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান গতকাল  গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা মিয়ানমারকে ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছি। সম্ভবত ওই তালিকা থেকে ভ্যারিফাই (যাচাই-বাছাই) করে তারা একটা ফিগার (সংখ্যা) জানিয়েছে সরকারকে।’
১ হাজার ১০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ২০২৩ সালে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেটিও সফল হয়নি। এখন যেহেতু সরকারি পর্যায়ে ঘোষণা এসেছে, আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে প্রস্তুত আছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল মিয়ানমার। চুক্তি সইয়ের দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া শুরুর কথা ছিল। কিন্তু প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি তখন। পরে প্রত্যাবাসনও শুরু করা যায়নি। সে সময় নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, নিজ জমিতে ফেরার নিশ্চয়তাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছিল রোহিঙ্গারা।
ওই সময় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মিয়ানমারবিষয়ক দূত ইয়াংহি লি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি স্বেচ্ছায় হতে হবে বলে জানিয়েছিলেন কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে।
এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবরে চীনের মধ্যস্থতায় ১ হাজার ১০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক পাঁচটি ট্রানজিট কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের মধ্যে কেন্দ্রগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করে ডিসেম্বরে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি আলোর মুখ দেখেনি।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে বর্তমান নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। কিন্তু গত প্রায় আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।

Comments

  • Latest
  • Popular

তহবিল–সংকটের ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা

বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান: প্রেস সচিব

ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনারের

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্‌যাপিত

বাংলাদেশে কম্বোডিয়ার অনারারি কনসাল হলেন আসফার খায়ের

প্রধান উপদেষ্টা টোকিও পৌঁছেছেন

শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক বিধি মেনে ফেরানোর সুযোগ আছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ায়নি, একসঙ্গেই কাজ করছে

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ফিলিস্তিন

সচিবালয়ে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ

১০
বাংলাদেশে কম্বোডিয়ার অনারারি কনসাল হলেন আসফার খায়ের
বাংলাদেশে কম্বোডিয়ার প্রথম অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আসফার খায়ের। আজ
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা / করিডর বলে কিছু নেই, শুধু রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আলোচনা চলছে, সেটিকে গুজব বলে
কে কী বলল, যায় আসে না: আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর
সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা / রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
এ বছরের প্রথমার্ধে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছিল জাতিসংঘ। এ জন্য গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত রাখাইন
Error!: SQLSTATE[42S22]: Column not found: 1054 Unknown column 'parent_cat_type' in 'field list'