সোমবার (২৪ এপ্রিল) গৃহীত এক প্রস্তাবে ওই হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ব্যাপক নৃশংসতা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। ওই নৃশংসতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় নিয়ে দেশে-বিদেশে বহুদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। এটা আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম বড় গণহত্যা হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
তবে স্বীকৃতি আদায়ে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আইএজিএস’র স্বীকৃতি সেই চেষ্টারই ফল। এই স্বীকৃতিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথাযথ স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে সরকার।
আইএজিএস’র প্রতিষ্ঠা ১৯৯৪ সালে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ও নির্দলীয় সংস্থা যা গণহত্যার প্রকৃতি, কারণ ও পরিণতি সম্পর্কে বিশদ গবেষণা ও শিক্ষাদান এবং গণহত্যা প্রতিরোধে নীতিগত অধ্যয়ন এগিয়ে নিতে চায়।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যে আইএজিএস-এ এখন পর্যন্ত কয়েকটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সবশেষ বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী গত একশ’ বছরে বহু গণহত্যা চালানো হয়েছে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ‘৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা বর্বরোচিত ও জঘন্যতম। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এক রাতেই প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী।
এ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পেলেও বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানি বর্বরতার বিষয়টি স্বীকৃত। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আর্জেন্টিনা, হংকং ওে পোল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।