জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কারা?

গত সপ্তাহে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এই প্রশ্নটি। এই আলোচনায় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দুটি দেশ একত্রে কাজ করার উপায় বের করার চেষ্টা করেছে। দুবাইতে আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৮-এর আগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন থেকে শুরু করে জলবায়ু অর্থায়নে কাজের সুযোগ সৃষ্টি চায় দেশ দুটি।
চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দেশটিতে ক্রমাগত কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানকারী গোষ্ঠীতে যোগদানের চাপ বাড়ছে।বেইজিংয়ের আলোচনায় মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেছেন, ৩০ নভেম্বর কপ২৮ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে আগামী চার মাস দুই দেশ জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর একটি দেশের এক কূটনীতিক বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ ও ছোট দ্বীপের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাতারে এখনও চীন, ব্রাজিল বা সৌদি আরবের মতো দেশকে তুলে ধরার পক্ষে যুক্তি দেওয়া কঠিন। জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিল যে নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর দায়িত্ব বেশি। কারণ শিল্প বিপ্লবের পর থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাধ্যমে বিশ্বকে উষ্ণ করে তোলার ক্ষেত্রে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহাসিক কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন যেকোনও দেশের তুলনায় বেশি। কিন্তু এখন দূষণ সৃষ্টির নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনকারী দেশ হলো চীন।
কপ২৮ সম্মেলনে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়বে দেশগুলো। এই সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য নতুন একটি তহবিল চালুর লক্ষ্য রয়েছে। গত বছর দীর্ঘ দিন পর এই তহবিলের প্রতি বিরোধিতা প্রত্যাহার করে ইইউ। কিন্তু তারা শর্ত দিয়েছে আরও একটি গোষ্ঠী এই তহবিলে অর্থ প্রদান করবে। তবে কোন কোন দেশ তা করবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখা যেতে পারে এমন অর্থ প্রদানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে অবদান রাখতে বাধ্য নয় এমন কিছু দেশ- যেমন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং কাতার অর্থ প্রদান করেছে। অন্যরা বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতা প্রদান শুরু করেছে।
২০১৫ সালে চীন সাউথ-সাউথ ক্লাইমেট কোঅপারেশন তহবিল চালু করেছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা করা এর উদ্দেশ্য।
এমন উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু তহবিলে অবদান রাখতে বাধ্য নয় এমন দেশগুলো ভূমিকা রাখতে পারছে। যদি তা জাতিসংঘ তহবিলের বাইরে এই সহযোগিতা করা হয় তাহলে এই বিষয়ে তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা কম থাকে। ফলে অর্থ আসলে কোথায় যাচ্ছে তা জানা কঠিন হয়ে পড়ে।
- এবার ৭ ব্যক্তি-সংস্থার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- নতুন জরিপ: বাইডেনের চেয়ে যেসব ক্ষেত্রে এগিয়ে ট্রাম্প
- দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস-লরির সংঘর্ষে নিহত ২০
- ৩৭ দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে অফিসে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র!
- রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে কিম জং উনের সাক্ষাত
- আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছে রুশ-মার্কিন ৩ নভোচারী
- ২৯ ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- অারো খবর