রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুণর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে। সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরও ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ। আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দু'দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিলো। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন এবং পাশাপাশি দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সাথে কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, জানান ড. হাছান মাহমুদ।
Comments