জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আ ম ম নাসির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সময় টেলিভিশনকে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম পদক্ষেপ কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। শুধু আমাদের জন্য না, অতীতে যারা ছিল, তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষের যে আত্মত্যাগ, অধিকার প্রতিষ্ঠার যে দায়িত্ব, সেটা ঘাড়ে নিয়েই আমাকে এগোতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত তিনটি ইলেকশনে মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই জাতিকে। এর জন্য কী কী করতে হবে সেটা আমি বোঝার চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় হাত দিতে হবে আমি সেই কাজটা করব।’
নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বদিউল আলমের মতো একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে একটা রিফর্ম কমিশন কাজ করছে। সুতরাং অসুবিধা হবে না সমস্যাগুলো বুঝতে। যেখানে যেখানে লুপহোলস থাকবে, সেগুলো ফ্ল্যাগস দিয়ে বন্ধ করাই হবে আমার কাজ।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি কী কী ব্যবস্থা নেবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেব, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারবে। সেই ব্যবস্থা আমি করব। সেটাই আমার কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার)।’
এর আগে দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার কমিশনার নিয়োগ দিয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্য চার কমিশনার হলেন:
১. অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
২. জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রহমানেল মাসুদ।
৩. যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) বেগম তাহমিদা আহমেদ।
৪. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
Comments