উৎপাদন সংকটে ভারতের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধিতে এক প্রকার পেঁয়াজ আমদানি বেনাপোল দিয়ে বন্ধ থাকলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। ৭টি ট্রাকে করে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল ও এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর তিন হাজার ২০০ মেট্রিক টন মুসুরের ডাল ও ৪ ডিসেম্বর দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবি।
জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও অর্ধেক মূল্যের বেশি ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ টিসিবি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি মূল্যে খোলা বাজারে অন্যান্য পণ্যের সাথে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করবে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে। দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নানান প্রতিবন্ধকতায় পেঁয়াজ আমদানি কমায় দিন দিন দাম বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে এবার দাম কমবে মনে করছেন বিক্রেতারা। গত বছর পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছিল ৪০ টাকার মধ্যে।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রব্য মূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে গত কয়েক বছর ধরে দেশের এক কোটি এক লাখ পরিবারের কাছে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করে আসছে টিসিবি। খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল ও পাঁচ কেজি চাল।
এসব নিত্য পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের যোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রবিবার ৭ ট্রাকে ২০১ টন পেঁয়াজ আসে বন্দরে। কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৫৫ টাকার মধ্যে। তবে সরকার অর্ধেকের কম দামে এ পেঁয়াজ তুলে দিবে নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে।
এদিকে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ আগে খোলা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
বেনাপোল বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি পেঁয়াজ আমদানিতে কমতে পারে দাম।
সরকারের দেয়া কার্ডধারী সাধারণ ক্রেতা জাবির হোসেন জানান, বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। দ্রব্য মূল্যের এই চড়া বাজারে সরকারিভাবে আমদানি পেঁয়াজ কম দামে কিনতে পারবো।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বন্দর থেকে পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দ্রুত যাতে টিসিবির পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।
Comments