দুই সপ্তাহ আগেই বেড়েছে আলুর দাম। তবে কমার নাম নেই। একই অবস্থা পেঁয়াজের। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে রান্নার এই উপকরণের দাম। এতে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের মাঝে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
অথচ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেও রাজধানীর বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে বাজারে দেখা মিলেছে বগুড়ার ছোট আকারের আলুর। বিরিয়ানির আলু হিসেবে পরিচিত ছোট আলুর কেজি ৮০ টাকা।
এছাড়া নতুন আলুও রয়েছে বাজারে। যার দাম সাধারণ আলুর দ্বিগুণ। ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি নতুন আলু।
শুধু আলু নয়, নিত্যপণ্যের একই হারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অক্টোবরের শেষ দিকে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে দেশি পেঁয়াজ। চলতি সপ্তাহে সেই পেঁয়াজের কেজি দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১০ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১১০ টাকা হারে। যা গত মাসের শেষ সপ্তাহেও ৯০ টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আলু-পেঁয়াজের দোকানি মো. ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, দাম বাড়ছে। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতেছি। পাইকারিতেই দাম বেশি।
চড়া মূল্যের কারণে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের মাঝে। কৃষি মার্কেটে বাজার করতে আসা আমির হামজা ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতিটা জিনিসের দামই বেশি। আগের সরকারের সময়ও এই অবস্থা ছিল, হুটহাট সব জিনিসের দাম বাড়তো। এখনও তাই। ব্যবসায়ীদের সাথে কেউ আসলে পেরে উঠছে না। ভুক্তভোগী আমরা।
এদিকে আলু-পেঁয়াজের পাশাপাশি স্বাভাবিকের চাইতে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। চীনের আদা ১৮০ টাকা কেজি। ভারতীয় রসুনের কেজি ১৩০ টাকা। এছাড়া শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
Comments