ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আমরা দুই দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আগ্রহী।
এর আগে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশ। পরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর দফতরে বৈঠকে বসেন তিনি।
গতকাল সোমবার ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান। এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক’শ লোক বিক্ষোভ করেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রতিবাদ মিছিলের সময় কিছু যুবক বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিসে ঢুকতে চেয়েছিল। আমি এই ঘটনার নিন্দা করি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সাত জনকে আটক করেছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ত্রিপুরার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশের এসপি কিরণ কুমারের বরাতে পিটিআই জানিয়েছে, এ ঘটনায় আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
Comments