অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাস পার হতে চললেও স্বস্তি ফেরেনি বাজারে। বরং গত দুই সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দামের বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। দামের বাড়িত চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বাজার সহনীয় করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও অস্থিরতা কমেনি। দাম নির্ধারণ, মনিটরিং কিংবা অভিযান চালিয়েও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর নেই। তবে নিম্ন আর মধ্যবিত্তের আমিষের চাহিদা পূরণকারী ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। যদিও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এখনও বিক্রি হচ্ছে না ডিম। তারপরও ১৪৫ টাকা ডজনে ডিম পেয়ে খুশি ভোক্তারা।
এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের আগাম সবজি। তবে এখনও এর দাম সাধারণ ক্রেতার ধরাছোঁয়ার বাইরে। শীতের সব সবজিই ২০০ টাকার ওপরে। বাকি সব সবজি মিলছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়।
দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দোকানে প্রায় ক্রেতা শূন্য। গরু ও খাশির মাংসও বাড়তি দাবে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও নেই কোনো সুখবর।
এই যখন বাজারের অবস্থা তখন ভোক্তাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া উপায় নেই। সাধারণের স্বপ্ন, কবে ভাঙবে সিন্ডিকেট, বন্ধ হবে চাঁদাবাজি, স্বস্থি ফিরবে বাজারে?
ক্রেতাদের অভিযোগ, অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো শাকসবজির বাজারও এখন শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী নয়, উৎপাদন এলাকায়ও চড়া সবজিদর। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবুও মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। তবে কিছুদিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।
Comments