ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘প্রোপাগান্ডা সার্ভ’ করার জন্য শোবিজের নামকরা তারকাদের নিয়ে গঠিত হয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যেখান থেকে আসতো অনেক নির্দেশনা। কখন কোথায় এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কথা বলতে হবে, কী করতে হবে। এছাড়া যেসব তারকা ছাত্র-জনতার পক্ষে, তাদের নামে কুৎসা রটানো হতো এ চ্যাট গ্রুপে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ‘আলো আসবেই’ নামক এ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়।
যে গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে দেখা গেছে ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে। এ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজও। এছাড়া এ গ্রুপে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এবং প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতও।
মূলত, তাদের নেতৃত্বেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিপক্ষে কর্মসূচি ঠিক করতেন তারকারা।
ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, গ্রুপে থাকা অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবারা সরাসরি ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। এছাড়া অরুণা বিশ্বাসকে বলতে শোনা যায়, ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেয়ার।
এ গ্রুপে রোষের মুখে পড়েন ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ নেয়া নির্মাতা মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকীও। যা এরইমধ্যে দৃষ্টিগোচর হয়েছে তার। তার বিরুদ্ধে এক সাংবাদিক লিখেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বসে আল কায়দার মতো জ্ঞান দেয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী নির্মাতা এ মহাদেশে আর আসেনি, আসবেও না।
এদিকে, শুধু ফেরদৌস-রিয়াজ-অরুণা-সোহানারা নয়, এ গ্রুপে আরও দেখা গেছে জ্যোতিকা জ্যোতি, তানভীন সুইটি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, শমী কায়সার, শামীমা তুষ্টি, সুবর্ণা মোস্তফা, আজিজুল হাকিম, আশনা হাবিব ভাবনাসহ আরও অনেকে।
Comments