সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ও পবিত্র আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার জেদ্দায় ওআইসির নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এ নিন্দা প্রকাশ করেছে ওআইসিতে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. আবুল হাসান মৃধা। বৈঠকে পবিত্র রমজান মাসে আল আকসা মসজিদে মুসুল্লিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় বাংলাদেশ নিন্দা প্রকাশ করে এবং ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ভাই-বোন উল্লেখ করে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
ওআইসির উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবুল হাসান মৃধা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা মৌলিক নাগরিক নিয়ম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে ধর্মের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ধরে রাখতে হবে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে। ‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে,’ বলেন ওআইসির উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবুল হাসান।
চলতি বছর ইসরাইলি হামলায় ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করা হয়েছে, এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, দখলদার বাহিনী ইসরায়েলের নৃশংসতা এবং আগ্রাসন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এতটাই এলোমেলো এবং ঘন ঘন হয়ে উঠেছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দীর্ঘায়িত সঙ্কট এবং ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের প্রতি উদাসীন বলে মনে হচ্ছে।
ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমিকে রক্ষার আহবান জানিয়ে মো. আবুল হাসান মৃধা বলেন, ‘আমরা সহিংসতা শান্ত করার জন্য চলতি বছরের শুরুতে জর্ডানের নেতৃত্বে সংলাপের প্রশংসা করি। তবে দখলদার বাহিনী সেই প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করেছে। বাংলাদেশ ওআইসিকে জাতিসংঘসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহবান জানায়। মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে আসুন আমরা একসাথে শক্ত হয়ে দাঁড়াই এবং মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করি এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ওআইসিতে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. সালেহ সুহাইবান। সভায় ওআইসির মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা ও বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments