শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করবেন উজরা জেয়া

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
|  ১১ জুলাই ২০২৩, ১৫:৫৬

সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ‍জুলাই) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং-য়ে একথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। তিনি জানান, অন্য দেশ যখন মার্কিন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়, সেটিকে তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো মনে করে না।

নিয়মিতভাবে বিশেষ করে নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা হোয়াইট হাউজে প্রেস ব্রিফিং-য়ে বাংলাদেশ নিয়ে কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ তাকে প্রশ্ন করা হয়— আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছে এবং এ প্রেক্ষাপটে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মার্কিন প্রতিনিধিরা কি শাসক দল এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করবে?

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে উত্তর দেন, ‘আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশে ১১ থেকে ১৪ জুলাই সফর করবেন। তিনি সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে উভয়পক্ষের জন্য মানবাধিকার উদ্বেগের বিষয়গুলো যেমন রোহিঙ্গা সমস্যা, শ্রমাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন, এবং মানবপাচার প্রতিরোধ নিয়ে আলাপ করবেন। তিনি সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বাক ও সংগঠন করার স্বাধীনতা, শ্রমাধিকার, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করবেন।’

বাংলাদেশ নিয়ে অন্য আরেকটি প্রশ্ন ছিল— দেশটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের এই প্রত্যাশাকে দেশটির ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো’ হিসাবে কঠোর সমালোচনা করেছে চীন, রাশিয়া ও ইরান। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিলার বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে আমাদের আহ্বান অন্যদেশ কেন আপত্তি করবে, এটি আমার জানা নেই। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে আমরা আমাদের প্রত্যাশা তাদের জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য দলের থেকে বেশি সমর্থন করি না; আমরা যেটি চাই, সেটি হচ্ছে সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। অন্যদেশ যখন মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়, আমরা সেটিকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো মনে করি না। আমরা এধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি এ ধরনের আলোচনা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার একটি সুযোগ এবং আমি জানি না কেন অন্যদেশগুলো এটির বিষয়ে আপত্তি করবে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত