নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে ১২ ঘন্টার ভিতর অভিযান চালিয়ে স্ত্রীর লাশ দাফনের আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্ত্রী সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী রুপন আহমেদ (রুপা)।
খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।এরপর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে সোমবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার ভিতর স্ত্রীর লাশ দাফনের আগেই অভিযুক্ত স্বামীকে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: হারুন অর রশিদ পিপিএম। গ্রেপ্তারকৃত রুপন আহমেদ রুপা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে মিয়াপাড়া গ্রামের রুপন আহমেদ রুপার সাথে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি আক্তার সৌদি আরবে কাজ করতে পাড়ি জমান। দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলে তার স্বামীর রুপনের সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। সুমী ও রুপা একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের বাড়িতে ভড়া বাসায় বসবাস করতেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহটি খাটের নিচে রেখে দেয় তার স্বামী রুপা। পরে সকালে তার চার বছরের এক ছেলে সন্তানকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় রুপন আহমেদ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, স্ত্রী হত্যাকান্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রুপন আহমেদ রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুপন তার স্ত্রী সুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহত সুমির বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
Comments