পোশাক-কারখানা ও অফিস-আদালত ছুটির পর ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে রাস্তায়। দীর্ঘদিন পর নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের আবেগের কমতি নেই। স্বপ্ন বাড়ি যাচ্ছে তাদের। কিন্তু এই স্বপ্ন বাড়ি ফেরা আর সরল আবেগের সঙ্গেই অনিয়মে মেতে উঠেছেন বাস চালক ও মালিকরা।
কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামত যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন বাস চালক ও মালিকরা। ঈদকে কেন্দ্র করে লোকাল বাসও এখন দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে। এ ব্যাপারে বাস চালক ও মালিকদের মন্তব্য, বছরের অন্যান্য সময় কম ভাড়ায় যাত্রীসেবা দিয়ে থাকেন তারা। আর ঈদে সরকার নির্ধারিত এবং বাসের শেষ স্টেশনের ভাড়া নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এ কারণে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভাড়া।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালী ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। রাজধানীর নিকটস্থ জেলা মানিকগঞ্জ। গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত বছরের অন্যান্য সময় ভাড়া ৯০ থেকে ১১০ টাকা। লোকাল বাসে অনেক সময় এর কমও হয় ভাড়া। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে এই রাস্তায় সেই ভাড়া এখন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
আবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া ৩১৫ টাকা। লোকাল বাস বছরের অন্যান্য সময় এই ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নিলেও এখন সেই ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিন সকালে নেত্রকোনা যাওয়ার জন্য মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে আসেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রিদয় হোসেন। তিনি জানান, তার কাছে শাহজালাল এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম ৮০০ টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রুটে নিয়মিত ভাড়া ৪০০ টাকা। এখন তারা সেই ভাড়া দ্বিগুণ আদায় করছে।
এ ব্যাপারে কাউন্টারে বসে থাকা টিকিট বিক্রেতা জানান, ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে যাত্রী নেয়া হলেও ফেরার পথে খালি বাস আসে। এ জন্য আসা-যাওয়ার ভাড়া নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এবারই প্রথম নয়, প্রতি বছরই ঈদে এভাবে ভাড়া নেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
Comments