নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এ বাংলা নববর্ষ-১৪২৯, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী উদযাপিত।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক-এ আজ ০৩ জুন ২০২২ তারিখে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে বাংলা নববর্ষ ২০২৯, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্ম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মান্যবর রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্টদূত মোঃ শামীম আহসান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুরুতে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল যোগ করেন যে, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ বলে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম-কে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁদের অবদান চিরস্মরনীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পীগণের - একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহিদ হাসান-এর দরদী কন্ঠের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে এক মনোরম আবহ তৈরী হয়। নিউইয়র্কস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন, Anup Kumar Dance Academy (ADDA), Bangladesh Institute of Performing Arts (BIPA) তাদের ছন্দেপূর্ণ সৃজনশীল নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বিভিন্ন প্রকার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
Comments