দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হলেও এর পাইলট নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় দুর্ঘটনার আগেই পাইলট জরুরি বহির্গমনের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
যুদ্ধবিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ১৭৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গুনসানের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। একপর্যায়ে পরে সেটি (পীত সাগরের) পানিতে বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে বের হওয়ার পর পাইলটকে উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এছাড়াও ইউনাইটেড স্টেটস ফোর্সেস কোরিয়ার কাছ থেকেও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সে সময়ও পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যান এবং দুর্ঘটনায় অন্য কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার যে বিমান ঘাঁটির কাছে মার্কিন ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, সেটি সিউলের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে কাছে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি। এটির অবস্থান উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৬৪ কিলোমিটার দূরে।
ওয়াশিংটন হচ্ছে সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র। পারমাণবিক ক্ষমতাশালী উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
সৌদি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহতসৌদি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত
এর আগে, গত নভেম্বরের শেষের দিকে জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপের উপকূলে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। সিভি-২২ ওসপ্রে মডেলের সেই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ছয় মার্কিন সেনা নিহত হন। -খবর এএফপি’র
Comments