ভারতের ঐতিহাসিক শহর বেনারসে অনুষ্ঠিত জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের সম্মেলনে (ডিএমএম) যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল সকালে সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ মালিকি বিন ওসমান এবং ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক ইসোবেল কোলম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাইকমিশন জানায়, উত্তরপ্রদেশের বেনারস শহরে জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের সাইডলাইনে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ জয়শংকরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের বিষয় এবং আগামী দিনে ঘটতে পারে এমন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন জি২০ মিটিং সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য এবং জি-২০ তে ভারতের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকার জন্য ভারতের প্রশংসা করেন। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ মালিকি বিন ওসমানের সঙ্গে বৈঠকে ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি লোক নিয়োগের আহ্বান জানান।
ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ইসোবেল কোলম্যানের সঙ্গে তার বৈঠকে মোমেন বাংলাদেশ এবং ইউএসএআইডির মধ্যে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন। উভয় বৈঠকেই তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশে দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সমর্থন চেয়েছেন। জি২০ দেশগুলোর পাশাপাশি অতিথি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে প্রাথমিকভাবে বহুপাক্ষিকতা, এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সবুজ উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর সামনে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের ওপর জোর দেন এবং বাস্তবায়ন, অর্থায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়ে উন্নত দেশগুলোর সমর্থনের আহ্বান জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়ন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট এবং ‘লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ মিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও অর্জন তুলে ধরেন।
Comments