নাইজেরিয়ার কাঁচামাল ও শ্রমদক্ষতা আর বাংলাদেশের বিশাল রপ্তানি বাজার ও নীতিসহায়তাকে এক করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর পক্ষে সায় দিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
নাইজেরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব চেম্বারস অব কমার্স, ইন্ডাস্ট্রি, মাইনস অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারের (এনএসিসিআইএমএ) সঙ্গে সম্প্রতি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এফবিসিসিআই আয়োজিত দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দুই দেশই দ্বিমুখী (উভমুখী) বিনিয়োগ করে নতুন নতুন বাজার ধরার পক্ষে একমত হয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, এনএসিসিআইএমএ জাতীয় সভাপতি হাজিয়া সারাতু আইয়া-আলিয়ু, নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া/প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক আয়েশা দেওয়া, এনএসিসিএমএর জাতীয় সহসভাপতি জনি ইব্রাহীম আলোচনায় অংশ নেন।
এফবিসিআই সভাপতি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ-নাইজেরিয়া মধ্যে জাতিসংঘ, ওআইসিসি, কমনওয়েলথ, ডি-৮ এবং ডি-৮ সিসিআইতে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে দীর্ঘ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
“এছাড়া আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনা অনেকাংশেই অগ্রসরমান রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪৪ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। বাণিজ্যের উন্নতি ঘটাতে জ্বালানি, তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য, কোকো উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, এফএমসিজি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্মাসিউটিক্যালস ইত্যাদি খাতে দ্বিপাক্ষিক ভ্যালু চেইন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন সুবিধা এবং নাইজেরিয়ার কাঁচামাল ও দক্ষতাকে এক করে দুটি দেশ যৌথভাবে বিকল্প বিনিয়োগের খাত আবিষ্কার করতে পারে। প্রযুক্তি এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উৎপাদন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে রাখাসহ, দেশীয় ভোক্তা বাজার, আঞ্চলিক বাজারে প্রবেশ, বিনাশুল্কে ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে বাণিজ্য সুবিধা এবং এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট সুবিধাসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।”
এনওসিসিএমএর সভাপতি হাজিয়া সারাতু বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানটি বেসরকারি খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষত আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিক্ষেত্রে নাইজেরিয়ান–বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ।
“ডি-৮ এর চেম্বার সদস্য হিসাবে, এটি একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ এবং এটি ডি-৮ এর উদ্যম, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে। দুই চেম্বারের এই সমঝোতা চুক্তি এতে পূর্ণতা এনে দেবে।”