নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা পৌনে ১টায় পরিবেশবান্ধব এই সার কারখানার উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় কারখানাটির উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা পরিদর্শন করেন। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।
নরসিংদীতে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ-বান্ধব এ সার কারখানাটিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন সার উৎপাদন হবে। এর মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানিতে বছরে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বাংলাদেশের।
শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ।
স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোড়াশাল-পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ নির্ধারিত মেয়াদের দুই মাস আগেই শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই কারখানাটিতে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন কার্যক্রম। দৈনিক ২৮০০ মেট্রিকটন ও বছরে গড়ে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে কারখানাটিতে।
তিনি আরও বলেন, কারখানাটি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। দেশে খাদ্য উৎপাদনে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি থাকায় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এ সার কারখানা। পলাশ ও ঘোড়াশালের পুরনো দুটি কারখানায় যে পরিমাণ গ্যাস লাগত, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে নতুন কারখানায় আগের দুটি কারখানার চেয়ে বেশি ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, এ সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ, যা পরিশোধ করতে ১০ বছর সময় লাগবে। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটিতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।
Comments