১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে ভোরে নিন্মচাপটি ঘুর্ণিঝড় আকারে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিনের নিন্ম এলাকায় আঘাত হানবে প্রথমে। এরপর চট্টগ্রাম এলাকায় আঘাত করবে। তবে এর গতি পরিবর্তন হতে পারে যেকোনও সময়।
বুধবার (১০ মে) বিকালে সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কদিন আগে তৈরি হওয়া নিম্মচাপ আগামীকাল থেকে অর্থাৎ ১১ মে থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী ১৩ থেকে ১৪ মের মধ্যে দেশের কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগের মতো সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের জন্য ২০ লাখ টাকা, ১৪ টন শুকনো খাবার এবং ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পাহাড় ধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পাহাড় ঘেঁষে থাকা রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপটি বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এটি দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হবে।’ তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের দিকে দেশের কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এখন এটি বাংলাদেশ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। ১২ মে উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নেবে। কক্সবাজার ও মিয়ানমারের ওপর দিয়ে আঘাত হানতে পারে। এটির গতি হবে ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সমুদ্রে এখন ১ নম্বর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এটির মুভমেন্ট অনুযায়ী সর্তকবার্তাও বাড়তে থাকবে। ৯১ এর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের ছায়া দেখা যাচ্ছে মোখায়।’
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছি। কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। যেহেতু রোহিঙ্গারা টেকনাফে অবস্থান করছে সেহেতু তাদের বিষয়টাও দেখতে হচ্ছে। আগাম সতর্কবাতা প্রচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সেখানকার মানুষের জন্য ১৪ টন শুকনো খাবার, ২০০ টন চাল আর ২০ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট কার্ড।’
Comments