বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর গুলশানের বাসভবন থেকে মার্কিন দূতাবাসে যান খালেদা জিয়া। এরপর সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন তিনি।
জানা গেছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন খালেদা জিয়া। পরে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিনি গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান।
এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আগামী মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে পারেন। প্রথমে তিনি লন্ডনে যাবেন বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। সেখান থেকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
Comments